পিবিএ ডেস্ক: মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও, এখনও ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা মিয়ানমার। অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে আবারও ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিলে রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পুলিশের গুলিতে ১ আন্দোলনকারী নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া গ্রেফতার হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে দিনভর দেশটির প্রধান শহরগুলোতে অব্যাহত ছিল জান্তা সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। তবে, এদিন কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
দাওয়েই শহরে, বিক্ষোভকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করতে গেলে বাধা দেয় দাঙ্গা পুলিশ। এতে একপর্যায়ে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এতে অন্তত নারী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পাশপাশি বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গ্রেফতার হন অর্ধশতাধিক বিক্ষোভকারী।
এ ছাড়া দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ম্যান্দালেতে এদিন সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে যোগ দেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও। এ সময় হাতে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার দিয়ে জান্তা সরকারবিরোধী স্লোগানের পাশাপাশি অবিলম্বে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে সামরিক অভ্যুত্থানের সমালোচনা করে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সংস্থাটিতে নিযুক্ত দেশটির স্থায়ী প্রতিনিধি কিয়াও মো। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে না দেয়া পর্যন্ত দেশটির জান্তা সরকারকে কোন ধরনের সহায়তা না করতেও বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জাতিসংঘ দূতের এমন অভ্যুত্থানবিরোধী বক্তব্যের একদিন পরই তাকে বহিষ্কার করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় রাতে এ খবর জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। এ সময় আরও জানানো হয়, জাতিসংঘে নেতিবাচক বক্তব্য দিয়ে কিয়াও মো দেশের সঙ্গে বেঈমানি করেছেন। সংস্থাটির স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়।
পিবিএ/এমএসএম