সাত দিনেও দৃশ্যমান কোনো সংস্কার কাজ না হওয়ায় আবারও প্রধান ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে ইনস্টিটিউটটের ফটকে তালা দিয়ে অবস্থান নেন তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সাবেক সিটি মেয়র, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের মূল ক্যাম্পাসে ফেরার আগ পর্যন্ত ইনস্টিটিউট সংস্কারের মাধ্যমে পাঠ উপযোগী করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সাত দিন পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোনো সংস্কার না হওয়ায় ফের ইনস্টিটিউট অবরোধ করে আন্দোলনে নামেন তারা। মূল ক্যাম্পাসে ফেরার আগ পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি চলবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
চারুকলা ইন্সটিটিউটের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষামন্ত্রী আসার এক সপ্তাহেও কর্তৃপক্ষ আমাদের ক্লাসরুম, ডাইনিং, বাথরুম সংস্কার করতে পারেনি। সুতরাং আমরা এখন মূল ক্যাম্পাসে ফেরার এক দফা এক দাবিতে অবরোধে নেমেছি। এখন আমাদের আর কেউ আশ্বস্ত করতে পারবে না। আমাদের এবারের আন্দোলন আরও জোরদার হবে।
এ বিষয়ে চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সুফিয়া বেগমকে কল করলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে কেটে দেন।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় তারা শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধও ফিরিয়ে দেন।
এরপর জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা। তবে মূল ক্যাম্পাসে ফেরার আগ পর্যন্ত খোলা মাঠেই ক্লাস করবেন বলে জানিয়েছিলেন তারা।
গত বছরের ২ নভেম্বর থেকে ২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি ও ক্লাস বর্জন শুরু করেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন দাবি মানতে ইতিবাচক সাড়া দিলেও পরে ২২ দফা দাবি পরিবর্তন করে হঠাৎ মূল ক্যাম্পাসে ফেরার এক দফা এক দাবিতে রূপ নেয়। মূল ক্যাম্পাস ছাড়া তাদের এই ২২ দফা দাবির সবগুলো পূরণ করা সম্ভব নয় বলে ধারণা শিক্ষার্থীদের। এর বাইরে ১১ বছর ধরে দৃশ্যমান কোনো সংস্কার কিংবা অগ্রগতি তারা দেখেননি। তাই মূল ক্যাম্পাস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা আর থাকতে চান না।