আবারও সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের গোলাগুলি

পিবিএ ডেস্ক: বিনা উস্কানিতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় সেনারা গুলি চালিয়েছে বলে দাবি করছে পাকিস্তান।

শনিবার বালাকোট সেক্টরে পাকিস্তানি সেনাদের গোলাবর্ষণের ফলে বেশ কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা আটকা পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, মানকোট ক্ষেত্রের কাছে বালনোই থেকে তারকুন্ডি পর্যন্ত আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ রেখার ৫০ কিলোমিটার ধরে প্রায় ৫০-৬০ টি গ্রাম গোলাবর্ষণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার সকাল পৌনে ১০টা থেকে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে গোলাবর্ষণ শুরু করে পাক সেনারা।

ভারতীয় বাহিনীর দাবি, পাকিস্তানি সেনাদের আকস্মিক মর্টার শেল নিক্ষেপের কারণে পুঞ্চ জেলায় প্রায় ৬টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুলের ভেতরে আটকা পড়েছে।

সানদিয়োটে সরকারি হাইস্কুলের এক শিক্ষক বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের একটি কক্ষে সরিয়ে নিয়েছি। তাদের একটি দেয়ালের পাশে লুকিয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ওই স্কুল ভবন থেকে ৫০ মিটার দূরত্বের মধ্যে কমপক্ষে ছয়বার গোলাবর্ষণ করা হয়েছে।

পাকিস্তানি সেনাদের হামলার জবাবে ভারতীয় সেনারাও গুলি চালিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও থেমে থেমে দুই বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি চলছে।

কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) শনিবার দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গুলিবিনিময় চলাকালীন ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে এক পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে।

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, সংঘর্ষ বিরতি নীতি লঙ্ঘন করে শনিবার আবারও কাশ্মীরের হাজী পীর সেক্টরে গুলিবর্ষণ করে ভারতীয় বাহিনী। এতে নাসির হোসেইন নামে পাক সেনাবাহিনীর একজন সিপাহী নিহত হয়েছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার একই এলাকায় ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে গোলাম রাসূল নামে পাক সেনাবাহিনীর একজন সিপাহী নিহত হয়েছিলেন।

এদিকে সংঘর্ষে নিহত দুই সেনার মরদেহ ফিরিয়ে নিতে শুক্রবার নিয়ন্ত্রণ রেখায় সাদা পতাকা উড়িয়েছে পাকিস্তানি সেনারা। শুক্রবার নিহত সেনা কর্মকর্তাদের মরদেহ গ্রহণ করে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দফা চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী শুক্রবার নিহত ওই দুই সেনার মরদেহ গ্রহণ করতে সাদা পতাকা ওড়ায়।

আরও পড়ুন...