পিবিএ, ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, ভোটারদের ওপর এর দায় চাপানো ঠিক নয়। নির্বাচনের বিষয়ে অনাস্থা থেকেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না। তিনি বলেছেন ‘যেসব কারণে আমরা ভোটারদের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছি, সেসব কারণ খুঁজে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ একান্ত আবশ্যক।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বা ভোট প্রদানে জনগণের যে অনীহা পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা এক গভীর খাদের দিকে অগ্রসরমান। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই নির্বাচন। নির্বাচনবিমুখতা গণতন্ত্রের প্রতি মুখ ফিরিয়ে নেয়ার নামান্তর। আমরা গণতন্ত্রের শোকযাত্রায় সামিল হতে চাই না। রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিবিদদের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে ভেবে দেখা প্রয়োজন।’
আজ (শনিবার) পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোট শেষে নিজ কার্যালয়ে এসব কথা বলেন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘অনেকের মতে, উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রশ্ন জাগে কতদূর যাওয়ার পর এই ঘুরে দাঁড়াবার বোধদয় ঘটল? উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্র বন্ধ করা এবং অনিয়মের জন্য পুলিশ ও অন্যান্য নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের সময় এহেন তৎপরতা দেখা যায়নি কেন?’
এই জিজ্ঞাসার জবাব খুঁজলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রকৃত রূপ উদঘাটিত হবে বলেও মন্তব্য করেন এই কমিশনার।
এ সময় তিনি বলেন, ‘জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন সর্বতভাবে নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত করা প্রয়োজন। রিমোট কন্ট্রোলে নির্বাচনকে কন্ট্রোল করা হলে নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় বিপর্যের মধ্যে পড়বে, যা গণতন্ত্রের জন্য অনভিপ্রেত। এ জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত একান্ত অপরিহার্য। সবার জন্য সমান সুযোগ রেখে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার সংস্কার ও বাস্তবায়ন করে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন হলে রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের অনীহা অবশ্যই দূর হবে।’
সংসদ সদস্যদের আওতা থেকে উপজেলা পরিষদকে মুক্ত করা না হলে উপজেলা নির্বাচন কোনোক্রমেই সুষ্ঠু, স্বাভাবিক ও ত্রুটিমুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। তবে এটি নিতান্তই রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় বলেও মন্তব্য করেন মাহবুব তালুকদার।
বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘বিগত ২ বছরে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের আত্মসমালোচনা প্রয়োজন। ওইসব নির্বাচনে যে সব ভুলভ্রান্তি হয়েছে, সেগুলোর পুনরাবৃত্তি রোধ করা দরকার।’
পিবিএ/এএইচ