ঈমানের পর সওয়াব মুমিনের জীবনে সবচেয়ে বড় সম্পদ। সওয়াবের মাধ্যমেই পরকালে সম্মান-মর্যাদা ও সুখ-শান্তি নির্ধারণ করা হবে। সওয়াব মানুষকে পৌঁছে দেবে জান্নাতের সর্বোচ্চ শিখরে।
জেনে রাখা জরুরি যে, কোনো আমলের সওয়াব লাভের জন্য বিশুদ্ধ নিয়ত থাকতে হবে। নিয়ত ছাড়া কোনো কিছুতে সওয়াব পাওয়া যাবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের কেবল এই আদেশই করা হয়েছিল যে, তারা আল্লাহর ইবাদত করবে; খালেস ও একনিষ্ঠভাবে তারই আনুগত্য করবে এবং নামাজ কায়েম করবে ও জাকাত দেবে। আর এটাই সরল-সঠিক দ্বীন।’ (সুরা বায়্যিনাহ, আয়াত : ০৫)
আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘সব কাজ নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ীই প্রতিদান পাবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ০১)
শুধু নিয়তের কারণেও সওয়াব হয় যেভাবে
মানুষ কখনো কখনো ভালো নিয়তের কারণে আমল না করেও সওয়াব পেয়ে থাকে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো ভালো কাজের আশা করল, অতঃপর তা করতে পারল না, তবুও তার জন্য সওয়াব লেখা হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৪৯১)
অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি শয়নকালে রাতেরবেলায় তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার নিয়ত করে শুয়েছে, কিন্তু অতিরিক্ত ঘুমের চাপে ভোর হয়ে গেছে— সে তার নিয়ত অনুযায়ী সওয়াব পাবে। তার ঘুমই আল্লাহর পক্ষ থেকে সওয়াব হিসেবে গণ্য হবে।’ (সুনানে নাসাই, হাদিস : ৩/২৫৮)
আল্লাহ তাআলা আমাদের বিশুদ্ধ নিয়তে অধিক পরিমাণে নেক আমল করার তাওফিক দান করুন।