পিবিএ ডেস্ক: দরজায় কড়া নাড়ছে কোরবানির ঈদ। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদের দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কোরবানি করবেন। সামর্থ্য অনুযায়ী কেউ গরু আবার কেউ ছাগল কোরবানি দিয়ে থাকেন। এই পশু কেনা নিয়ে হাটে প্রতিটি মানুষেরই নানা ধরনের মজার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সাধারণ মানুষের মতো তারকারাও নানা অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। সেইসঙ্গে পড়তে হয় ভক্তদের বিড়ম্বনায়ও। এমনই কিছু মজার ঘটনা জানালেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম।
ব্যস্ততার কারণে এখন যে কোনো উৎসবই কেমন যেন ফিকে হয়ে গেছে। প্রতিটি মানুষের জীবনে ছোটবেলাই ছিল আনন্দের, স্মরণীয়। ছোটবেলায় কোরবানির ঈদ মানে ব্যাপক আনন্দ-উল্লাস। সারা দিন শুধু গরু আর গরুর পেছনেই ছুটে চলা। এ নিয়ে বাবা-মায়ের অনেক বকুনিও খেতে হয়েছে। কোরবানির ঈদে গরু কেনা ও তার পরিচর্যা করাটাই সবচেয়ে আনন্দের।
ছোটবেলায় দলবল বেঁধে বাবার সঙ্গে গরু কিনতে হাটে যেতাম। একটার পর একটা গরুর দাম জিজ্ঞাসা করা, গরুর সঙ্গে মজা করা আরও কত কি। সেই দিনগুলো খুব মনে পড়ে। কখন হাটে যাব, কখন গরু কিনবে এই নিয়ে বারবার বাবাকে তাগাদা দিতাম। বাবার আশপাশ দিয়েই ঘোরাফেরা করতাম। যাতে আমাকে রেখে আবার সে না চলে যায়।
ঢাকায় আসার পর সেই দিনগুলো ভীষণ মিস করছি। এখনও হাটে যাওয়া হয় তবে সেই আনন্দ-উল্লাস আর হয় না। আর হবেও না, কারণ সেই সময়টা আমার ফেলে এসেছি। এখন পরিবারের লোকজন ও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে হাটে যাওয়া হয়। একা একা হাটে যাই না। কারণ আমি গরু খুব একটা চিনি না। যা দেখি, তাই ভালো লাগে। বন্ধুরা আমার গরু কিনে দেয়। গরু বিক্রেতা আমাকে দেখলেই দাম বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া ভক্তরা দেখলেই ঘিরে ধরে সেলফি তোলার জন্য। তাই সবার কাছ থেকে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করি। এরপর কেনা শেষ হলে গরু নিয়ে আসার দায়িত্ব দেওয়া হয় অন্যকে।
পিবিএ/বিএইচ