পিবিএ ডেস্ক: ঘন সবুজ জঙ্গল। রাস্তা বিছানো রংবে রঙের পাতা, লতা, গুল্মে। সেই পথেই আমাজনের শোভা দেখতে যাচ্ছিলেন পর্যটকরা। কিন্তু পথে এ কী! বিশাল বড় এক দেহ পড়ে। প্রথমে তো কেউ বুঝতেই পারছিলেন না – কার মৃতদেহ। একটু এগোতেই স্পষ্ট হল অবয়ব – একটি বিশালাকার হাম্পব্যাক, অর্থাৎ একপ্রকার তিমি। হলদেটে চর্বিওয়ালা, খাঁজকাটা দেহ, তার চেয়েও বড় লেজ। দৃশ্য দেখে তো চোখ কপালে সবার
ম্পব্যাক প্রজাতির তিমি যে কোনও সমুদ্রেই থাকতে পারে। সাধারণত ১২ থেকে ১৬ মিটার লম্বা এবং ২৫ থেকে ৩০ টন ওজনের হয় এই প্রাণী। পুরুষ হাম্পব্যাক সুন্দর সুর তুলতে পারে। স্ত্রী প্রজাতির তিমিকে আকৃষ্ট করতে একটানা অন্তত ২০ মিনিট সুরেলা থাকতে পারে। শরীরের মেদ বজায় রাখতে কিম্বা মিলন এবং সন্তান উৎপাদনের জন্য গভীর সমুদ্র থেকে কম জলের দিকে চলে আসে। মোহনা বা খাঁড়ির কাছে পৌঁছতে ২৫০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পাড়ি দিতে পারে। তারপর ফের সমুদ্রে ফিরে যায়। এখন আমাজনের জঙ্গলে পড়ে থাকা এই হাম্পব্যাকটি আমাজন নদীর ধারে চলে এসেছিল। তারপর মৃত্যু হয়েছে। এবং নদীর জোয়ারে তা সেই দেহটি অরণ্যের ভিতরে চলে এসেছে। সে যাই হোক, রকমারি সরীসৃপ, বুনো শেয়াল, বেবুন কিম্বা চাঁদোয়া হয়ে আসা বড় গাছগাছালির মাথায় দু, একটা অন্যরকম পাখি দেখার আশায় আমাজনের বিখ্যাত জঙ্গলে পাড়ি দিয়েছেন, তাঁদের তো সোনায় সোহাগা। মৃতই না হয় হল, তবু একটা সামুদ্রিক প্রাণী দর্শন তো হল।
পিবিএ/এমটি/জেডআই