আমারে একটু কাগজ তুলে দে এমপিরা যাতে আমাকে একটা ভাতার কার্ড দেয়

পিবিএ,নাটোর: নাটোরের লালপুরের মোমেনা বেগম (৯৫) বছর বয়সেও বয়স্ক ভাতার কার্ড মেলেনি কপালে। তার প্রতিবন্ধী নাতি সজিব (১৮) বছর বয়সেও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড পাননি।

মোমেনা খাতুন উপজেলার দুয়ারিয়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত তুরাপ প্রামাণিকের স্ত্রী ও সজিব তার একমাত্র নাতী ও দুলাল প্রামাণিকের পুত্র। বৃদ্ধা মোমেনা খাতুন ও প্রতিবন্ধী সজিবের অভিযোগ করে বলেন, আমরা ভাতার কার্ড পাওয়ার উপযুক্ত হলেও কেন জানিনা অদৃশ্য কারনে চেয়ারম্যান মেম্বার আমাদের ভাতার কার্ড ও সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে।

প্রতিবন্ধী সজিবের পিতা ও মোমেনা খাতুনের ছেলে দুলাল প্রামানিকই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। সে অন্যের জমিতে দিনমজুরী করে কোন রকমের সংসার চালায়। কিন্তু স্ত্রী সন্তান ও মায়ের তিন বেলা ভাত জোটাতে পারলেও বৃদ্ধা মায়ের চিকিৎসা করাতে হিমসিম খায়। নিজের বয়স্ক ভাতা ও প্রতিবন্ধী নাতির ভাতা কার্ডের জন্য চেয়ারম্যান মেম্বােেরর কাছে বারবার ধর্ণা ধরেও শূন্য হাতে ফিরে আসতে হয় বৃদ্ধা মোমেনা কে।

স্থানীয় এক সাংবাদিকের হাত ধরে অনুরোধ করে বলেন, আমারে একটু (কাগজে) বা পেপারে তুলে দাও ভাই, এমপি যেন দেখতে পায়। পাড়ার সবাই সরকারের কাছ থেকে ট্যাকা পায়। আর আমরা কি পাবনা, আমারে কেউ দেখতে পায়না। আমার থেকে বয়সে ছুটু কতজন বয়স্ক ভাতার ট্যাকা পায়। আর আমার একটা কার্ড কেউ করি দেয় না। আমার ব্যাটা মানষের বাড়িতে কামলা দিয়ে সংসার চালায়। একটা মাত্র নাতি, তাও প্রতিবন্ধী, বড় হচ্ছে না, বুদ্ধি নাই, কাম কাইজ ও করতে পারে না। ব্যাটা একলা কামলা দিয়া চার জনের সংসারের খরচ চালায়। সরকার যদি ওষুধ কিনার ট্যাকা দিলিনি তাউ একটু উপকার হলোনি। নাতিটার জন্য একটা প্রতিবন্ধী কার্ড দিলে তাও একটু উপকার হলোনি। বিশ বছর আগে স্বামী ডা মারা গিছে। কতজন বিধবা ভাতার ট্যাকা পায়। আর আমি কিছুই পাবো না ক্যা।

মেম্বার চেয়ারম্যান কয় আমরা নাকি বড়লোক। বড়লোক কোনদিন কামলা খাটে, কওতো দেখি। মানুষ কয় পেপারে তুলে দিলে নাকি আমরা ট্যাকা পাবো। এমপি দেখলে নাকি ট্যাকা দেয়। আমাক আর আমার নাতি ডাক একটা ছবি তুলে পেপারে দেও তো ভাই। এমপি যেন দেখতে পায়। আমারে ভাতার কার্ড করে দেয়।

পিবিএ/মোঃ রাশেদুল ইসলাম/এমএসএম

আরও পড়ুন...