পিবিএ ডেস্ক: ‘আমি পারতাম না, আব্বা আমি পারতাম না। আমারে তুমি দুই দিনের মধ্যে দেশে নেয়ার ব্যবস্থা কর। নাইলে আমার যে কি হইব আমি বুঝতাছি না। প্রত্যেক দিন আমারে তারা চড় তাপড় লাতি মারে। আমারে মাইরা পালাইয়া দিব। আমারে দিনে একটা শুকনা রুটি দেয়। আমার জীবন বাচাঁও আব্বা। আমি বিদেশ থাকতে চাই না।
জর্ডানে কর্মরত নারী শ্রমিক খাদিজা আক্তার বাথরুম থেকে ইমুতে ভিডিও কল করে তার বাবার সঙ্গে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ কথাগুলো বলেন। বুধবার গভীর রাতে কথাগুলো বলেই আর যোগাযোগ নেই। খাদিজার বাড়িতে মা-বাবা ভাই বোনদের কান্না আর আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে যাচ্ছে। আশ-পাশের লোকজন এসে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। বার বার তার মা মুর্ছা যাচ্ছেন।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের দিনমজুর মরম আলীর মেয়ে মোছা. খাদিজা আক্তারকে (১৬) উপজেলার আমরুট গ্রামের দালাল সুন্দর আলীর ছেলে আলফি মিয়া ঢাকার পুরানা পল্টনের ফোর স্টার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে ১৭ দিন আগে জর্ডান পাঠান।
৪ মেয়ে ২ ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে অভাব-অনটনের সংসারে মরম আলী একটু সচ্ছলতার জন্য দালালদের প্ররোচনায় পড়ে খাদিজাকে জর্ডান ও তার বড় মেয়ে সুমি আক্তারকে (২০) সৌদি আরব পাঠান। খাদিজার সঙ্গে একদিন কথা হলেও সুমির সঙ্গে ২৭ দিন ধরে পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই।
সুমির খোঁজ নেয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলে মরম আলীকে প্রাণ নাশের হুমকি দেন উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের দালাল কবির। সন্তানদের চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অসহায় বাবা মরম আলী। তিনি বলেন, সরকারের মাধ্যমে তার সন্তানদের দেশে ফেরত আনতে চান।
পিবিএ/বিএইচ