শর্মিলী শর্মি
ফাগুনের রং এ রাঙ্গিয়েছো আমাদের জীবন
তোমায় পেয়ে পরিপূর্ণ আমাদের ভূবণ।
আকাশের মেঘের মত তোমার কষ্ট আড়াল করে!
করেছো আমাদের জীবনটা সুখের প্লাবন!
সাদা-কালো হয়ে তুমি করেছো
জীবণ-যাপন!
তোমার ছায়ায় আগলে রাখো
বটগাছের মতো;
কষ্ট থেকে আড়াল করে
আমাদের রাখো অক্ষত
আমাদের বড়দা তুমি
বাবার চেয়েও বেশি।
আমাদের আনন্দে তুমি সর্বদাই খুশি!
খুব জানতে ইচ্ছে হয়
তোমার কী নিজস্ব সুখ দুঃখ বলে কিছু নেই বড়দা?
অভিমান নিয়ে বলতে ইচ্ছে হয়
তুমি কেনো এত পাথর!
অথচ বরাবরের মতই আকাশের মত উদার, মাটির মত নরম, শিমুল তুলার মত কোমল, তোমার মন।
একমাত্র তুমি-ই শত বাঁধা বিপত্তিতে লড়াই করে মানুষ হয়ে বাঁচতে শিখিয়েছ।
নিজের আত্মসম্মান বজায় রাখতে সবকিছু ছেড়েছুড়ে মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখিয়েছ।
“একাত্তরে দেশের জন্য লড়েছো তুমি
জীবন রেখে বাজী
ছিনিয়ে এনেছো দেশের তরে
স্বাধীনতার পুষ্পসাজী”
জীবনযুদ্ধে লড়ছো তুমি নেইকো
তার শেষ!
আজও লড়ছো পরে
তোমার সেই রণবেশ।
“তোমার তরে শ্রদ্ধা আর পরম মমতায় নতজানু হয় জীবন।
তোমার সততা আর সাহসে গড়া আমারি জীবন”।
হায়না আর মুখোশিদের ভীড়ে চোখ-মুখ যখন অন্ধকারে ঝাপসা হয়ে আসে!
তখনি তোমার তেজালো মন আমায় বলে উঠে..
লড়াই করে বাঁচতে হয়।
আমরা যেমন একাত্তরে বর্বর পাকিস্তানীদের থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলাম..
তোকেও তর স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে হবে এই পুরুষতান্ত্রিক সভ্যতা থেকে।
“বাঁচতে হবে বাঁচার মতো
মাথা উচুঁ করে মুক্ত হয়ে”
লেখকঃ শর্মিলী শর্মি ,বাংলাদেশ
পিবিএ/এমএ