পিকলু প্রিয়
আমি কার কথা বলব হে পহেলা বৈশাখ
কী শুনলে তুমি খুশি হবে?
গত বছর প্রচন্ড ঝড় তুফাল গেল
এ বছরও কৃষকরা দিশেহারা
দুয়ারে দুয়ারে ক্ষুধার্তের আহাজারি!
নেই পাখিদের ওড়াউড়ি
চৈত্রের রৌদ্রে সবুজ বৃক্ষ হয়েছে উলঙ্গ।
বাড়ির উঠানে ওঠে না চাঁদ,
নদীময় তারাভরা দেখি না আকাশ
দখিনা বাতাসে জুড়ায় না ক্লান্ত প্রাণ!
আমি কী করে বলব হে বৈশাখ
তোমার আগামীর এগারো মাসের হিসাব?
এখানে মানুষেরা এক সাথে হেঁটে যায়,
তবুও কেউ কাউকে চেনে না!
আমি কার কথা বলব হে জন্মভূমি
কী শুনলে তুমি সুখী হবে?
এখানে মিথ্যা অভিনয়নের ক্যাম্পাসে
মিথ্যা সান্ত্বনা দিতে আসি নাই বলে
আমি হয়েছি নিম্নব্যাক্তি!!
হে জন্মভূমি, তোমার বুকে
এখনো দূরন্ত কিশোর-কিশোরিদের স্বপ্ন ভয়াল মনুষ্যত্বহীন থাবা কেড়ে নেয় তাদের ন্যায় স্বাধীনতা।
আমি কার কথা বলব হে, দেশরত্নী মাতা
কী বললে আপনি ফিরিয়ে দিবেন তাদের ন্যায্য অধিকার?
এখানে গুম, খুন, ধর্ষণ, অকালমৃত্যু, দিকেদিকে; কৃষক-শ্রমিক, অসহায় যুবক যুবতিদের টগবগে রক্ত চুষে খায় হায়নার দল।
আমি কার কথা বলব হে, অভাগিনী মাতা
কী বললে তোমাকে শ্রেষ্ট উপাধি দিবে ওরা?
এখানে এখনো মাতাদের করে রেখেছে দাসী,
পুরুষতান্ত্রিক সভ্যাতায় তুমিই শ্রেষ্ট অভাগিনী।
আমি কার কথা বলব হে, পহেলা বৈশাখ?
তোমার সবুজ শ্যামল গায়ে আজ অট্টালিকা আর প্রসাদ,
সেখানে কৃষাণ-কৃষাণীরা উড়ায় না বিজয়ের নিশান।
পিবিএ/জেআই