আমি যখন তাকে মুজিব, চে, মার্কস, রোকেয়ার, গল্প শুনাতাম
সে আমাকে ধর্মীয় গান শুনাতো।
প্রতিদিন সে ঠাকুরের কাছে
প্রার্থনা করতো আমার যেন দীর্ঘায়ু হয়।
কোন বিপদ যেন আমাকে স্পর্শ করতে না পারে!
আমি তখন রাজপথে স্লোগান দিতাম
গনতন্ত্র মুক্তি পাক, সৈরাচার নিপাত যাক।
একবিংশ শতাব্দীর নোংরা রাজনৈতিক সিষ্টেম!
বুন্দকের সামনে দাঁড়িয়ে যখন বলতাম…
‘বেঁনেট কিংবা বন্দুকের গুলি দিয়ে ঝাঝরা করে দে আমার বুক হায়নার বাচ্চারা’
সে তখন হাউমাউ করে বলতো আমি শুধু একজন প্রেমিক চাই বিপ্লবী নয়!
তার প্রেম আমাকে প্রেমিক বানায়’নি!
বানিয়েছিলো বিপ্লবের কবি।
তার কান্না আমাকে ভিতু করেনি
বরং তার কান্না আমাকে শক্তি দিয়েছিল।
সে যখন বলতো বন্ধ করো তোমার এই বিপ্লব!
আমি তখনও চিৎকার করে বলতাম বেঁনেট কিংবা বন্দুকের গুলি দিয়ে নয় ভালোবাসা দিয়ে শত্রুর বুক ঝাঝরা করতে চাই আমি।
দেখে নিও চন্দ্রমুখী, দেখে নিও,
এই পৃথিবীটা একদিন প্রেমময় হবেই।
সে আমাকে একান্তই তার করে চাইতো!
আমি মানুষের মুক্তি চাইতাম।
সে আমাকে নিয়ে একসাথে বাঁচতে চাইতো
আমি কাটাতার’হীন একটি পৃথিবী চাইতাম।
সে বিয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে প্রচন্ড আনন্দে আমাকে মন্ত্র শুনাতো।
আমি তখন গলা ছেড়ে জীবনানন্দের কবিতা শুনাতাম।
বিয়ের পর তার একটি সন্তান চাই
আমি বলতাম এই পৃথিবীটা মানুষ বসবাসের উপযোগী নয়।
জেনে শুনে নিজেদের স্বার্থে ক্যানো আরেকটি নতুন প্রাণ’কে আমরা অনিশ্চিত ও স্বার্থপর পৃথিবীতে আনবো!
ভিন্ন গ্রহ, ভিন্ন মানসিকতা
তবে সেখানে আমাদের ভালোবাসা মিলেমিশে একাকার হয়ে যেত।
যেখানে স্বয়ং ঈশ্বরও পরাজিত মানতেন আমাদের ভালোবাসার কাছে।
মানুষ অলৌকিক দেবতাদের খুঁজে খুঁজে কত কাল ধরে থেমেছে এসে শেষ শ্মশানের তীরে!
শুধু বেঁচে থাকে ভালোবাসা।
সে আমারে প্রচুর ভালোবাস’তো
আমি কী তারে কম বাসতাম?
লেখক:পিকলু প্রিয় ,দোহা, কাতার