মেঘলা ইসলাম: আমি মজবুর নই , আমি মজবুত , আমি সার্বজনীন নই, আমি আমার জন্য ! তবে এর পরে হয়তো আমার নাম্বার , মরণ ডালা সাজিয়ে রাখবার ! তোমার হাসি আমার অসুখে, আমার প্রতিটি কান্না আর আর্তনাদে। তুমি কি মানুষ , অনলে পুড়ালে আমায় এই বয়সে, আমি এক ছোট্টো শিশু, নাম ঠিকানা এখনো জানিনা কিছু ! একটু আদরেই ছুটে গিয়েছি কোলে, তাই বলে এ ভাবে কাঁদালে। নিয়ে নিলে জান, তোমার শরীরে কি নেই রক্ত মাংস প্রাণ? আমার বয়স চোদ্দ, খুব বারেনি শরীর এর অঙ্গ , তবুও তোর খিদে, কি দিয়ে মিটে ! বয়স আমার বিষ, বিরক্ত শুনে তোর শীষ, আমার চলাফেরা আর পোশাক নিয়ে প্রশ্ন ! লোহার চশমা কেনো বানাসনি নিজের জন্য, বয়স আমার পঞ্চাশ , তবুও দেখিস তুই উত্তাপ , বয়সের ভাড়ে আমি যখন শতে, তখনো দিসনি শান্তি এই অবলারে, নইতো আর রুষ্ট পুষ্ট , আজ এক আমি আর সেই ছোট্ট শিশু, তবে কি দেখে তোর ললাটে আসে জল, তুই মানুষ নাকি পশু, বল ? নারীর চলাফেরা আর পোশাক ,নিয়েছে নাকি পুরুষ উস্কানির ভার , আমার পোশাক না হয় ছোট , ছয় মাসের নিষ্পাপের কি ভুল ছিলো ? পারলে একটু মেনে নিস, উন্মুক্ত ভাবে পথ চলতে দিস ভাই , তোর চোখের পানি মুছতে সবার আগে আমিইতো আগাই, যে নারী তোকে গর্ভে করলো ধারণ, তাকে করিস লজ্জিত, এ তোর কেমন মরণ ! খুব যদি হয় জ্বালা পতিতালয় পালা , সেওতো নারী, যাকে করেছিস বদনামি, রক্তাক্ত মন , রক্তাক্ত আমার দেহ , বুঝিনা তবে কি দেখে তোমরা মন ভরো , ধীক্কার জানাই এমন পুরুষত্ব কে , মানুষের দেহে যখন পশু বেড়ে উঠে । আলোগুছতেই আমায় বলো বাহিরে যেওনা, এতোই দায়িত্বশীল তোমরা , তবে পুরো জঞ্জালই কেনো উপরে ফেলনা ? যতো বাধা নিষেধ সব আমার জন্য ! যে এর কারণ তাকে কেনো রুখো না ॥ ধর্ষকের পক্ষ যেদেশে লোক পাওয়া যায় , তার মা বোনের উপর জুলুম কে থামায় , ঘরে রেখে শত্রু , বাহিরে কাকে বলবো ,চাইনা দেখতে ওই মুখ, তোকে দিবালোকে মারা হোক ,আমি আর কোনো পুরুষ জন্ম দিতে চাইনা, না না আমার এমন বংশের প্রদীপ চাইনা॥