আমেথিতে স্মৃতি ইরানির কাছেই হারছেন রাহুল

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে
স্মৃতি ইরানি ও রাহুলগান্ধী । ছবি: ফাইল

পিবিএ,ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভোট গণনা শুরু হয়েছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের । প্রাথমিক ফল অনুযায়ী, দেশজুড়ে বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছে ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট।দেশজুড়ে কংগ্রেসের আবারও ভরাডুবির খবর পাওয়া যাচ্ছে।এমনকি ভরাডুবির প্রভাব পড়েছে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নিজ আসনটিতেও।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ফলে দেখা গেছে, ১৯৩ আসনে এগিয়ে আছে নরেন্দ্র মোদির এনডিএ জোট। আর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট ৬৯ আসনে এগিয়ে আছে।উত্তর প্রদেশের আমেথি আসনের প্রাথমিক ফলে দেখা গেছে, রাহুল গান্ধী তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী স্মৃতি ইরানির চেয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছেন।

উত্তর প্রদেশের আমেথি বরাবরই কংগ্রেসের আধিপত্য। ১৯৬৭ সাল থেকে মাত্র দুবার এই কেন্দ্র কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছে। প্রথমবার ১৯৭৭ সালে। জিতেছিলেন জনতা পার্টির রবীন্দ্র প্রতাপ সিং। দ্বিতীয়বার ১৯৯৮ সালের ভোটে। কংগ্রেস ছেড়ে আমেথির রাজা সঞ্জয় সিং বিজেপিতে যোগ দিয়ে তখন জেতেন। এই দুই ব্যতিক্রম ছাড়া কংগ্রেস ও আমেথি সমার্থক।

১৯৮০ সালে এখান থেকে জিতেছিলেন ইন্দিরা-তনয় সঞ্জয় গান্ধী। তাঁর মৃত্যুর পর পরপর তিনবার এই কেন্দ্র থেকে জেতেন রাজীব গান্ধী।১৯৯১ সালে রাজীবের মৃত্যুর পর গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ সতীশ শর্মা কংগ্রেস প্রার্থী হয়ে এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন। মাঝখানে ১৯৯৮ সালে নির্বাচিত হন সঞ্জয় সিং। ১৯৯৯ সালে জেতেন সোনিয়া গান্ধী। ২০০৪ সাল থেকে কেন্দ্রটি রয়েছে রাহুল গান্ধীর দখলে।

ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার ৫৪৩ আসনে ভোট হয়েছে। কোনো দলকে সরকার গঠন করতে হলে পেতে হবে ২৭২টি আসন।

১১ এপ্রিল শুরু হয়ে গত ১৯ মে শেষ হয় ভারতে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ৯০ কোটি ভোটারের জন্য নয় লাখ কেন্দ্রে মোট সাত পর্বে এই ভোটগ্রহণ চলে।প্রায় সব জরিপে বলা হয়, ক্ষমতায় থাকছে বিজেপি। আবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। বুথফেরত জরিপের পর উজ্জীবিত বিজেপি। বুধবার বিরোধী কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, বুথফেরত সমীক্ষা ভুয়া। ক্ষমতায় যেতে পারবে না মোদি। সংসদ হতে পারে ঝুলন্ত।শেষ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে বুথফেরত জরিপই সত্য হচ্ছে।

পিবিএ/এইচটি

আরও পড়ুন...