মুখরোচক ফলের মধ্যে আম অন্যতম। কাঁচা কিংবা পাকা আমপ্রেমীদের কাছে আম মানেই প্রিয় একটি ফল। এ মূলত গ্রীষ্মকালীন ফল। স্বাদের দিক থেকে সাধারণত কাঁচা অবস্থায় টক আর পাকা অবস্থায় আম মিষ্টি হয়ে থাকে।
একটি পাকা আমে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, যা আপনার শরীরের রক্ত স্বল্পতা দূর করতে এবং হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। তাই যাদের রক্তস্বল্পতা সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন অল্প পরিমাণে হলেও আম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আমের খোসায় এমন অনেক উপাদান থাকে যেগুলি শরীর এবং ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই বিভিন্ন সমস্যা এড়াতে আম খাওয়ার আগে তা বেশ কিছু ক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এর ফলে যে ধরনের সমস্যা এড়ানো যায়-
১. আম খাওয়ার অন্তত ২ থেকে ৩ ঘণ্টা আগে তা পানিতে ভিজিয়ে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আমে থাকা ফাইটিক অ্যাসিড স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা উপকারী নয়। অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্ট হিসাবে পরিচিত এই অ্যাসিড থাকে আমের খোসায়।
এই অ্যাসিড শরীরে আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালশিয়ামের মতো কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান শোষণে বাধা দেয়। আম খাওয়ার ঘণ্টা খানেক আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এই অ্যাসিড দূর হয়। ব্রণ, র্যাশ, ফোড়া থেকে পেটের সমস্যা— সবই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২. মূল খাবারের সঙ্গে না খেয়ে আম ফল হিসেবে খাওয়াই ভাল। পুষ্টিবিদরা বলেন, খাবারের সঙ্গে আম খেলে সেখান থেকে হজমের সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তাই দুপুরে খাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে বা খাওয়ার ১ ঘণ্টা পরে আম খাওয়া যেতেই পারে।
৩. যাদের আম খেলে ত্বকে ব্রণ, র্যাশ বা ফোড়া হওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তারা আমের সঙ্গে সামান্য সবজা বা চিয়াবীজ মিশিয়ে খেতে পারেন।