পৃথক হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন।
অপর যে তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, তাঁরা হলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, দীপু মনি ও জুনাইদ আহ্মেদকে আজ সকাল আটটার পর কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। পরে বাড্ডা থানায় দায়ের করা সোহাগ মিয়া ও হাফিজুল শিকদার হত্যা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। মোজাম্মেল বাবুকেও আজ সকালে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে বাড্ডা থানায় দায়ের করা তৌহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। আদালত পুলিশের আবেদনগুলো মঞ্জুর করেন। পরে আনিসুল হকসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গত ১৩ আগস্ট আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। পরে তাঁদের পৃথক ৪টি মামলায় ৩০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৯ আগস্ট গ্রেপ্তার হন দীপু মনি। এরপর মোহাম্মদপুর ও ভাটারা থানার পৃথক দুটি মামলায় তাঁর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
১৪ আগস্ট গ্রেপ্তার হন জুনায়েদ আহ্মেদ। পৃথক তিন মামলায় তাঁর ২০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত হয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় ১৬ সেপ্টেম্বর মোজাম্মেল বাবুকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। পরে রমনা থানায় করা একটি হত্যা মামলায় তাঁর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।