পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অবস্থায় ইডেন কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তারকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডে দুই জনের মৃত্যু হলো।
এর আগে ঘটনাস্থল থেকে ভবনের সিকিউরিটি গার্ড রাসেল মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। নিহত সুমাইয়া আক্তার ওই ভবনের চার তলায় থাকতেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, ধোঁয়ার কারণেই বেশির ভাগ মানুষ অসুস্থ হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল জানান, এ পর্যন্ত ২১ জন এসেছেন। তাদের সবাই কেমিক্যালের ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। একজনকে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- গিয়াসউদ্দিন (৪৫), বিষ্ণুপদ মিস্ত্রি (৪০), লিটন (৩০), ফরহাদ রহমান (৩৮), আব্দুল কাদের (৪০), বিল্লাল হোসেন (৫০), মো. ফারুক (৫৫), আসমা সিদ্দীকা (৪৫), ইউসুফ মোল্লা (৬০), মো. বাবুল (৫০), হাজী মো. ইব্রাহিম (৫০), সুফিয়া (৫০), মুনা (৩০), আশিকুর রহমান (৫০), জুনায়েদ (১১), আকাশ (২২) এবং ১৩ দেলোয়ার (৫৮)। তাদের বেশিরভাগই শ্বাসকষ্ট নিয়ে ও অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস তদন্ত কমিটি গঠন করবে। এরপরই আগুন লাগার কারণ জানা সম্ভব হবে। ফায়ার সার্ভিস তার আইন অনুযায়ী কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।’
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) ভোররাত ৩টা ১৮ মিনিটের দিকে পুরান ঢাকার আরমানিটোলা হাজী মুসা মেনশনে কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগে। ভবনের নিচতলায় আগুন লাগলে তার ধোঁয়ায় ভবনের দুই তলা থেকে ছয় তলার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বারান্দার গ্রিল কেটে সব ফ্লোরের লোকজনকে উদ্ধার করে নিচে নামিয়ে আনেন। শুক্রবার সকাল ৯টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি দল প্রায় ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হন।