বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে মাদক মামলা নিয়ে গোটা বলিউডে যখন তোলপাড়, তখন মামলার অন্যতম সাক্ষী কিরণ পি গোসাভিকে আটক করেছে পুলিশ।
মুম্বাইয়ের প্রমোদতরী-কাণ্ডে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) অন্যতম এ সাক্ষীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুণে পুলিশ।
পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতাভ গুপ্ত বলেছেন, মুম্বাইয়ের প্রমোদতরীতে মাদক মামলায় এনসিবির অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে আটক করা হয়েছে।
আরিয়ান খানের সঙ্গে সেলফি তোলা নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন কিরণ গোসাভি। অবশেষে পুণে থেকে তাকে আটক করা হয়।
মুম্বইয়ের প্রমোদতরীতে মাদক উদ্ধার ও আরিয়ান খানের গ্রেফতারি নিয়ে বিতর্ক চলছেই। ক’দিন আগেই গোসাভির দেহরক্ষী প্রভাকর দাবি করেন, শাহরুখপুত্রের জামিন বিষয়ে তিনি কিরণ গোসাভিকে ২৫ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা নিয়ে ফোনে কথা বলতে শুনেছেন।
প্রভাকরের দাবি, কিরণ শাহরুখের ম্যানেজার পূজা দাদলানির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন। পূজার কাছে আরিয়ানের জামিন বিষয়ে ২৫ কোটি টাকা দাবি করা ছিল তার উদ্দেশ্য। শেষে ১৮ কোটিতে রফা করার পরিকল্পনা ছিল। এরমধ্যে ৮ কোটি টাকাই দেওয়া হতো এনসিবি কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে, যিনি আলোচিত এ মাদক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
গোসাভির দেহরক্ষীর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যের পর তদন্ত ঘিরে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে এনসিবির তদন্ত কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের ভূমিকা নিয়েও।
আরিয়ানের সঙ্গে সেলফি তোলা নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই গা ঢাকা দেন কিরণ গোসাভি। এরপর তার খোঁজে চলে তল্লাশি অভিযান। এরইমধ্যে তিন দিন আগে গোসাভি নিজেই জানান, তিনি উত্তরপ্রদেশের লখনউতে কোনো একটি থানায় আত্মসমর্পণ করবেন।
পরে গোসাভি দাবি করেন, তিনি একটি থানায় আত্মসমর্পণ করতে গিয়েছিলেন। তবে পুলিশ তাকে বাধা দিয়েছে। সে কারণে তিনি আত্মসমর্পণ করতে পারেননি। যদিও শেষ পর্যন্ত পুণে থেকেই আটক হলেন তিনি।
