পিবিএ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় দুই অঙ্গরাজ্য আলাবামা ও জর্জিয়ায় দফায় দফায় টর্নেডো আঘাত করেছে। এতে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। তছনছ হয়ে গেছে দুই অঙ্গরাজ্যেরই বেশ কিছু বাড়িঘর। অনেক জায়গায় গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে গেছে।
স্থানীয় সময় রবিবার দুপুরের পর এই টর্নেডো আঘাত হানে। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, অন্তত এক ডজন ছোট-বড় টর্নেডো বয়ে গেছে জর্জিয়া ও আলাবামার ওপর দিয়ে। আর এনবিসি নিউজ বলছে, জর্জিয়া সীমান্তবর্তী আলাবামার লি কাউন্টির বিভিন্ন এলাকায় একাধিক টর্নেডোর তাণ্ডব চালিয়েছে।
লি কাউন্টির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনবিসি জানায়, টর্নেডোয় কেবল লি কাউন্টিতেই ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই কাউন্টির ব্যুরেগার্ড শহরের কাছে একটি জনপদে প্রলয়ঙ্করী তাণ্ডব চালিয়েছে টর্নেডো।
আলাবামা ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির পরিচালক ব্রায়ান হ্যাস্টিংস বলেন, এটা অনেক বড়সড় আঘাত ছিল। ঝড়ের তাণ্ডবের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন উদ্ধার ও ত্রাণকর্মীরা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে ইতিহাসের ভয়াবহতম বন্যা চলছে। টমবিগবি নদী ভাসিয়ে দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এখন আবার এই ঝড় ভয়াবহ ঝাপটা দিয়ে গেলো। এখন পর্যন্ত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলছে।
লি কাউন্টির ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বাইরন প্রাথার জানান, ঝড়ের কারণের কোথাও কোথাও গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে যাওয়ার কারণে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, জর্জিয়ার দক্ষিণ ও পশ্চিমাংশে টর্নেডোর খবর দিয়ে সংবাদমাধ্যম বলছে, সেখানে ঝড়ের পর ৩০ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে দিনাতিপাত করছেন। জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, জর্জিয়া সীমান্তে আলবামার ইউফাউলার একটি বিমানবন্দর ও একটি ফায়ার স্টেশনও টর্নেডোর তাণ্ডবের মুখে পড়েছে।
সিএনএন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলে এই সপ্তাহে শীত নামাতে প্রকৃতির প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই এ টর্নেডো দাপিয়ে গেছে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
পিবিএ/এফএস