আ’লীগের দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৫


পিবিএ,সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সালিশী বৈঠককে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক কামাল আহমেদ গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
গুরুতর আহত কামাল আহমেদ (৩৩) কে এনায়েতপুরের বেতিল ড্যাফোডিল ক্লিনিক ও অন্যদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বিকালে সগুনা চৌরাস্তায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়।
পরে সাবেক মন্ত্রী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জোকনালা গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী শিক্ষিকা উম্মে জহুরার একটি পরিত্যাক্ত পুকুর পরিস্কার করা নিয়ে প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের কথা কাটাকাটি হয়।

বিষয়টি নিয়ে শনিবার বেলা ৩ টায় শালিস বৈঠক ডাকা হয় জোকনালা বাজারে। ঘন্টা খানেক আগেই রফিকুল ইসলামের পক্ষে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাজ্জাদুল হক রেজার নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক লোকজন হাজির হন। সালিশ কাজ বিলম্বিত হওয়ায় তারা প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেল নিয়ে ফিরে সগুনা চৌরাস্তা মোড়ে পৌছে। তখন বিপরীত দিক থেকে উম্মে জহুরার পক্ষের নিকট স্বজন দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আশিকুর রহমান লাজুক বিশ্বাসের নেতৃত্বে শতাধিক লোক মোটরসাইকেল নিয়ে দু গ্রুপের মুখোমুখি হয়। তখন উভয়পক্ষের লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। এসময় লাজুক বিশ্বাসের পক্ষের উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক কামাল আহমেদ গুলিবিদ্ধ ও পেটে ক্ষুর দিয়ে আঘাতসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। অপরদিকে রেজা গ্রুপের যুবলীগের কর্মী নাজমুলসহ কয়েক জন আহত হয়। উভয় মিলে অন্তত ১৫ জনের মত আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ভাংচুর করা হয় উভয় পক্ষের ১০টি মোটরসাইকেল।
খবর পেয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদের মধ্যে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গুরুতর অবস্থায় কামাল আহমেদকে স্থানীয় ড্যাফোডিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এখনো আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পিবিএ/সোহাগ হাসান জয়/এমআর

আরও পড়ুন...