আ’লীগ ও বিএনপি’র মিত্র ঠিকাদারিত্ব বড় বাঁধা টেকসয় উন্নয়নে

ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী: দলীয় ক্ষমতা বদলের খেলায় ঠিকাদারদের চলে পালা বদলের খেলা। বর্তমান আ’লীগ সরকারের দশ বছরের ক্ষমতার সাথে বিরোধী দলীয় সমর্থক ঠিকাদাররা কাজের বৈঠার হাল ধরেছে শক্ত করে। বৃহত ২দলের মিত্র সর্ম্পকে আ’লীগ স্থানীয় নেতা কর্মীরা ঘরে বসেই আহার যোগাচ্ছে। প্রতিফল স্বরুপ টেকসয় উন্নয়নে বড় বাঁধা আর দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় হচ্ছে।
রাজশাহীর ৯টি উপজেলার অবকাঠামো টেকসয় উন্নয়নে আ’লীগ সরকারের বরাদ্দ যথাযথ।

তবে বাস্তবায়নে রয়েছে অনেক অনিয়ম। সরকারী টেন্ডারের মাধ্যমে নির্মান কাজ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠন কাজ না করে স্থানীয় সাব-ঠিকাদারদের কাছে চুক্তি প্রাপ্ত কাজ বিক্রয় করে দিচ্ছে। যার কোন বৈধ্যতা নেই। প্রকৃত ঠিকাদার না থাকার কারনে কাজের গুনগতমান নির্ণয় করা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তৃপক্ষ চলমান কাজ পরিদর্শনে করতে গেলে দলিয় ক্ষমতার কাছে তাদেরকে হারমানতে হচ্ছে। সম্প্রতী জেলার পুঠিয়া উপজেলার নির্মাণ কাজ পরিদর্শণ করতে গিয়ে রক্তাত্য হয়েছেন জেলার গনপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী। দলীয় ও বিরোধী মিত্রত্ব ঠিকাদারদের উপদ্রবে প্রকল্পের গুনগতমান নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রকৌশলী।

জেলার বাঘা উপজেলার নিম্ন মানের কাজের তদারকিতে নেই জোড়াল ভুমিকা। একইভাবে দূর্গাপুরের সড়কের বেহাল অবস্থা, নির্মাণ প্রকল্পে নিম্ন মানের উপকরণ ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন প্রকল্পের স্থায়ীত্বের ৪০% আর বাকি অংশ বৃষ্টির জলে ভেঁসে যাওয়ার উপক্রম। অপরদিকে দূর্নীতি থেমে নেই জেলার গোদাগাড়ি, মোহনপুর, পবা এবং বাঘমারা উপজেলায়।

চারঘাট উপজেলার ঠিকাদার সরওয়ারুল ইসলাম (লালন) বিএনপির সাবেক কৃষকদলের নেতা। বর্তমান সরকারের স্থানীয় আ’লীগের সাথে অন্ত্যমিলের কারণে আজ সে কোটি পতি। তোষামদ এবং অনিয়ম করে ঠিকাদারী ব্যবসা তার জন্য আশির্বাদ। গত ৩ অক্টবর ২০১৯ তারিখে মিম ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিযারিং লিঃ (এমডি ফজলুর রহমান) টেন্ডারের মাধ্যমে নন্দনগাছি বাজারের ৪ তলা ভবনের ৩ কোটি ১০ দশ লক্ষ টাকা মূল্যের কাজ পাই। কিন্ত অনিয়ম করে গত সপ্তাহে লালন ঠিকাদার এই নির্মাণ কাজটি শুরু করছে। যদিও কাজটি শুরু করার শেষ তারিখ ছিল ৩০ অক্টবর ২০১৯ এবং কাজ শেষ করার তারিখ দেয়া আছে ১০ মার্চ ২০২১ তারিখ।

এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মকবুল হোসনে বলেন, এই উপজেলা সবস্থানে একই চিত্র। সঠিক পর্যায়ে নির্মাণ কাজের তদারকি করতে পারছে না তারা। নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে নানা রকমের বাঁধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এভাবে নির্মাণ কাজ চলতে থাকলে বর্তমান সরকারের এসডিজি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।

৯টি উপজেলার প্রকৌশলীর তথ্যমতে টেকসই বাস্তবায়নে সঠিক কাজ করছে না ঠিকাদাররা। স্থানীয় সচেতন মহলের উৎকন্ঠার ফলশ্রুতে সরজমিনে গিয়ে তার প্রমান বিরাজমান। উপজেলার বিভিন্ন সড়কের কাজের মেয়াদ ৩ বছর না হতেই পাকা সড়কের স্থায়ীত্ব নষ্ট হয়েগেছে। কিন্ত ঠিকাদার আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। চারঘাট উপজেলার দলীয় ও বিরোধী দলের ঠিকাদারদের পূর্বের এবং বর্তমানের চিত্র আকাশ ও জমিন পার্থক্য।

পিবিএ/এসডি

আরও পড়ুন...