পিবিএ, সৈয়দপুর,নীলফামারী: মহাজোটের শরীকদের মধ্যে যে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে তা কিছুই না আগামীতে তাদের সম্পর্কের আরও অবনতি হবে এবং আওয়ামীলীগ দেশ চালাতে পারবেনা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও বাংলাদেশ জাতীয় সামাজতান্ত্রিক দল (জে এস ডি) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ স ম আব্দুর রব। তিনি ২১ জানুয়ারী (সোমবার) সকাল ১১টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপরোক্ত কথা বলেন। তার সাথে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মূখপাত্র মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও গনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এসময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন, লালমনিরহাট জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র অধ্যক্ষ মো: আমজাদ হোসেন সরকার সহ রংপুর, লালমনিরহাট জেলার বিএনপি নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি এসময় আরও বলেন, দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। দেশে শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত কেউই ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা। এসব ধর্ষকের অধিকাংশই আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে তারা। অসাংবিধানিকভাবে নির্বাচনী তামাশার মাধ্যমে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে একক আধিপত্য বিস্তার করার কারণে মহাজোটের শরীকদের ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। যা আগামীতে আরও অবনতির দিকে যাবে এবং এর ফলে একটা অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এর ফলে আওয়ামীলীগ দেশ চালাতে পারবেনা। এমনকি কোন রকম রাজনৈতিক আন্দোলন ছাড়াই আওয়ামীলীগ ক্ষমতা থেকে পালাতে বাধ্য হবে। এখনই যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তা থেকে জনগনের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতে মাদক নির্মূলের নামে ক্রস ফায়ারের মাধ্যমে চুনোপুটি কিছু মাদক ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হচ্ছে। এর ফলে প্রকৃত মাদক সম্রাট তথা রাঘব বোয়ালরা ধরা ছোয়ার বাইরেই রয়ে যাচ্ছে। যা তাদের জন্য এক সময় বুমেরাং হয়ে দেখা দিবে। পাশাপাশি বহির্বিশ্ব তথা জাতিসংঘ সহ দাতা সংস্থাগুলোর চাপের মুখে সরকার কুননৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে। কিন্তু তা কোনভাবেই ফলপ্রসু হবেনা। এতে বোঝা যায় সরকার তাদের অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার অপচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য কুটনৈতিকদের স্বরনাপন্ন হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সহিংসতা সৃষ্টি করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা বিএনপি কর্মীদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে লালমনিরহাটে যারওয়ার প্রাক্কালে সকাল ১১ টায় ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এসে পৌছেন। এখানে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের স্বাগত জানান এবং পরে তারা লালমনিরহাটের উদ্দেশ্যে সড়কপথে রওনা দেন।
পিবিএ/জেআই