মুহাম্মদ আবুল হুসাইন, পিবিএ,ঢাকা: মানুষ যখন নফসের বা প্রবৃত্তির দাস হয়ে পড়ে তখন তার বিবেক-বুদ্ধি লোপ পায়। নফসের গোলামী ঈমানদারী আর আত্মশুদ্ধির পথে সবচেয়ে বড় বাঁধা। কাজেই আল্লাহর পরিবর্তে যারা প্রবৃত্তিকেই নিজেদের প্রভু বানিয়ে নিয়েছে ঐশী কালাম থেকে তারা কোন ফায়দাই হাসিল করতে পারে না। যারা নফসের গোলাম তারা তো মনুষ্যত্বের কলংক। ইতর প্রাণী আর তাদের মধ্যে কার্যত কোন পার্থক্য নেই। যারা নফসের গোলাম হয়ে পড়ে, আল্লাহর কালামের ইজ্জত তারা কিভাবে দিবে? আল্লাহর কালামকে মর্যাদা দেয়ার পরিবর্তে তারা তো সব সময় নিজেদের নফসের খায়েসকেই বেশি প্রাধান্য দেয় আর আল্লাহর কালামকে করে নিজেদের খেয়াল-খুশির অধীন। পৃথিবীতে এ ধরণের লোকদের জন্য কোন ইজ্জত ও সম্মান নেই। এদের সম্পর্কে আল কোরআনে করা হয়েছে কঠোর হুশিয়ারী :
‘তুমি কি কখনও সেই লোকদের অবস্থা চিন্তা করেছো, যে নিজের মনের বাসনা-লালসাকে আপন প্রভু বানিয়ে নিয়েছে? এ ধরণের লোকদেরকে তুমি সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিতে পারো কী? তুমি কি মনে কর তাদের অধিকাংশই শুনতে পায় ও বুঝতে পারে? আসলে এরা তো জন্তু-জানোয়ারের মত, বরং তার চেয়েও অধিকতর পথভ্রষ্ট।’ -[আল-ফুরকান : ৪৩-৪৪]
“তার চেয়ে বড় পথভ্রষ্ট আর কে আছে যে আল্লাহর পক্ষ থেকে আগত হেদায়াতের পরিবর্তে আপন প্রবৃত্তির অনুসরণ করলো।”- [আল-কাছাছ : ৫০]
পিবিএ/এএইচ