পিবিএ,ডেস্ক: কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। আজ সন্ধ্যা নাগাদ সুপার সাইক্লোন এদেশে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যায় ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।বইছে ঝড়ো হাওয়া ও ভারি বর্ষণ। বাংলাদেশেও বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। দমকা হাওয়া বইছে। এমতাবস্থায় দেশের উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে।
জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় কেন্দ্রের উপসচিব কাজী তাসমীন আরা আজমিরী জানান, বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত উপকূলীয় জেলাগুলোর ১৩ লাখ ৬৪ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। এই কাজ অব্যাহত রয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান আগেই জানিয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এর কারণে ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৫১ লাখ ৯০ হাজার ১৪৪ জন মানুষকে আশ্রয় দেয়া গেলেও কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হবে। সেজন্য ২০ থেকে ২২ লাখ লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
এদিকে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা লোকজনের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ভীতি কাজ করছে।বহু লোক একসঙ্গে থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মানা অনেকটাই দুরুহ হয়ে উঠছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসবেন, তাদের সবাইকে মাস্ক পরে আসতে বলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে তাদের থাকতে হবে অন্তত এক মিটার দূরত্ব রজায় রেখে।
বুধবার সকাল ৯টায় আবহওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় আম্পান এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ উপকূলের ৩৫০ কিলোমিটারের মধ্যে।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরেও ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
বুধবার বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে অতি প্রবল এ ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তখন এর বাতাসের শক্তি থাকতে পারে ঘণ্টায় প্রায় দেড়শ কিলোমিটার বা তার বেশি।
পিবিএ/এএম