রিফাত হত্যাকারীদের পালানোর পথ বন্ধ

পিবিএ ডেস্ক: বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলার আসামিরা পুলিশের রেকির মধ্যে পড়েছে। তাদের পালানোর সকল পথ বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন- পিপিএম। তিনি বলেন, পুলিশের পাতা জালের ফাঁদ ছোট হয়ে আসছে। আশা করছি দু-একদিনের মধ্যেই মূল হোতাসহ সকল আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।

শনিবার (২৯ জুন) রাতে মুঠোফোনে এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার।

তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি যে আমরা বসে নেই। শুধুমাত্র বরগুনা পুলিশই নয়, আপনারা জানেন সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। যাতে ওরা দেশ ত্যাগ করতে না পারে। যদিও ওদের দেশ ত্যাগের আর কোন সুযোগ নেই। হত্যাকারীরা পুলিশের জালে ফেঁসে গেছে।

পুলিশ সুপার বলেন, এরই মধ্যে আমরা রিফাত হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছি। তাদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। তবে প্রধান অপরাধী নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী গ্রেফতার হলে পুরো ঘটনাই বেরিয়ে আসবে।

সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে এসপি বলেন, রিফাত হত্যার ঘটনায় পুলিশের কোন গাফলতি নেই। আমরা সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। গোটা জেলা জুড়ে পুলিশ তল্লাশি এবং চেক পোস্টে কাজ করছে। তবে এটি পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন বুধবার সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয় বরগুনা সরকারি কলেজের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রিফাত শরীফকে।

পরে প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকাল সোয়া ৪টায় অপারেশন টেবিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাতের মৃত্যু হয়। তাকে ফিল্মি স্টাইলে কুপিয়ে জখমের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

ফলে ঘটনাটি নিয়ে নড়েচড়ে বসে দেশের সর্বোচ্চ মহল। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি রিফাতের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে নির্দেশ দেন। এমনকি উচ্চ আদালতও বিষয়টি হস্তক্ষেপ করেন এবং আসামিরা যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারে সে জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

নিহতের ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ ১২ জনকে নামধারী আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় ঘটনার পর দিন ভোররাতে এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। একই দিন গ্রেফতার করা হয় আরও দু’জনকে। তবে ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও প্রধান ঘাতক নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীসহ অন্যান্য অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।

পিবিএ/বিএইচ

আরও পড়ুন...