পিবিএ,ডেস্ক: ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেন, আসামে কোনো অনুপ্রবেশকারীকে থাকতে দেওয়া হবে না এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি থেকে প্রত্যাহার হবে না ৩৭১ অনুচ্ছেদ।
গত বছর এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশের পরে প্রতিবাদ শুরু হয় আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে। তখনই এনআরসিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেছিলেন, নাম বাদ পড়া চল্লিশ লক্ষ মানুষ অনুপ্রবেশকারী। তথ্যবিভ্রাট সামাল দিতে পরে দল বিস্তর চেষ্টা করলেও অমিত শাহর মুখে ‘অনুপ্রবেশকারী’ তকমা পেয়ে ক্ষিপ্ত ছিলেন খসড়ায় নাম না থাকা মানুষ।
এ বছর ৩১ আগস্ট যখন চূড়ান্ত এনআরসি থেকে ১৯ লক্ষের নাম বাদ পড়ে তখন থেকে ফের বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, কোথায় গেলেন অমিত শাহর হিসেবে থাকা বাকি ২১ লক্ষ অনুপ্রবেশকারী?
ইতিমধ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে, এনআরসি-পরবর্তী আসামে প্রথম পা রাখলেন তিনি। ইতিমধ্যে তার দল রাজ্যে এনআরসির তীব্র সমালোচক হয়ে উঠেছে। রাজ্য সভাপতি রঞ্জিৎ দাস ও অর্থমন্ত্রী তথা নেডা চেয়ারম্যান হিমন্তবিশ্ব শর্মারা স্পষ্ট দাবি করেন, এই এনআরসিতে অনেক ভারতীয় বাদ গিয়েছেন। ঢুকেছে অনেক বিদেশির নাম। এ নিয়ে রাজ্য বিজেপি আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপিও দেন। অমিত শাহ বলেন, ‘আশ্বস্ত করছি কোনো অনুপ্রবেশকারীকে ভারত সরকার আসমে থাকতে দেবে না’।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পরে উত্তর-পূর্বেও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ৩৭১ অনুচ্ছেদ নিয়ে। শাহ বলেন, ‘বিরোধীরা কেবল কাশ্মীর নিয়ে প্রতিবাদই জানাননি, পরে ৩৭১ অনুচ্ছেদও লোপ পাবে বলে প্রচারও চালিয়েছেন। উত্তর-পূর্বকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা চলছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ ছিল অস্থায়ী অনুচ্ছেদ। কিন্তু ৩৭১ স্থায়ী অনুচ্ছেদ। আট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশ্চিন্ত করছি, ৩৭১-এ থেকে জে পর্যন্ত সব ধারা বজায় থাকবে। যারা উত্তর-পূর্বে অশান্তি চায়, তারাই এই প্রচার চালিয়ে ভেদাভেদ তৈরি করতে চাইছে’।
পিবিএ/বাখ