আড়াইশো পাড় করলো পাকিস্তান

পিবিএ ডেস্ক: আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ষষ্ঠ ম্যাচে আজ সোমবার ব্যাটিং স্বর্গ হিসেবে বিবেচিত নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইংল্যান্ড দলপতি ইয়ন মরগান। এই রিপোর্ট লেখা অবধি পাকিস্তানের সংগ্রহ ৪০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৬৩ রান। সোমবার (৩ জুন) ইংল্যান্ডের নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটায় শুরু হয় ম্যাচটি।

পাকিস্তানের হয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাট করতে নামেন ফখর জামান আর ইমাম-উল-হক। ইনিংসের ১৫তম ওভারে বিদায় নেন ফখর জামান। মঈন আলির বলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ার আগে ৪০ বলে ছয়টি চারের সাহায্যে করেন ৩৬ রান। দলীয় ৮২ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। দলীয় ১১১ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয়। মঈন আলির বলে ক্রিস ওকসের হাতে বল তুলে দেওয়ার আগে পাকিস্তানের আরেক ওপেনার ইমাম উল হক ৫৮ বলে তিনটি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৪৪ রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সরফরাজ আহমেদরা ১০৫ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিলেন। জেসন হোল্ডারের টিম বাউন্সারে বিপর্যস্ত করে ফেলেছিল পাকিস্তানকে। আজ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচ সরফরাজদের। জোফ্রা আর্চারদের বাউন্সারের কথা ভেবে কি এখন থেকে ভয় পাচ্ছেন পাকিস্তানিরা? ওয়াহাব রিয়াজ উড়িয়ে দিয়েছেন।

পাকিস্তানের বাঁ হাতি পেসার ওয়াহাব বলেছেন, ‘এটা ঘটনা যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে আমরা শর্ট বল সামলাতে পারিনি। কিন্তু টিমের সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে আমরা কিন্তু শর্ট বলের বিরুদ্ধেই কিন্তু রান করেছি। যদি বিপক্ষ টিম আগামী ম্যাচগুলোতেও আমাদের বিরুদ্ধে বাউন্সার দেয়, ব্যাটসম্যানদের কোনও সমস্যা হবে না।’ সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন, ‘একটা ম্যাচে বাউন্সার খেলতে না পারা কোনও মানসিক সমস্যা নয়। বরং অতীত ভুলে সামনে তাকানো উচিত। কী ভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায়, সেই রাস্তাই খোঁজা উচিত।’

ইংল্যান্ডের শক্তির বড় জায়গা শক্তিশালী ব্যাটিংলাইনের পাশাপাশি দ্রুত রান তোলার ক্ষমতা। স্বাগতিক দল ২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৪৪ রান এবং গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৮১ রান তুলেছিল নটিংহ্যামের যে পিচে, সোমবারের ম্যাচটি সেই পিচেই হবে। ফলে রানবন্যার ম্যাচের অপেক্ষায় রোমাঞ্চ নিয়ে প্রতীক্ষা ক্রিকেটপ্রেমীদের।

ইয়ন মরগান, জেসন রয়, জো রুট- ইংল্যান্ডের টপ এবং মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা রানের মধ্যেই রয়েছেন। বেন স্টোকস বল এবং ব্যাট- দুটোতেই সমান সফল। গত মাসে পাকিস্তানকে ৪-০ ব্যবধানে পরাজিত করা ইংল্যান্ড ফেভারিট হিসেবেই নামবে।

অন্যদিকে, নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল ও ওশানে থমাসের শর্ট বল আর বাউন্সে নাকাল হয়েছিলেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। জফরা আর্চার, মার্ক উড ও লিয়াম প্লাঙ্কেটরাও শর্ট বলের সঙ্গে বাউন্স-গতির মিশেলে একই পরীক্ষা নেবেন ফখর-বাবরদের।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যর্থতার জের ধরে পাকিস্তান দলে পরিবর্তন আসতে পারে। ব্যাটিংয়ে শক্তি বাড়াতে শোয়েব মালিককে একাদশে ফেরাতে পারে ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়নরা। বোলিংয়ের শক্তি বাড়াতে মোহাম্মদ হাসনাইন ও শাহিন শাহ আফ্রিদিকে দলে ফেরাতে পারে টিম পাকিস্তান।

টানা ১১টি ওয়ানডেতে পরাজিত হওয়া পাকিস্তান ঘুড়ে দাঁড়ানোর জন্য অনুপ্রেরণা নিতে পারে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে। সেবার শিরোপা জেতার পথে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল সরফরাজের দল।

ইংল্যান্ডকে তাদেরই মাটিতে হারানো পাকিস্তানের জন্য কষ্টকরই হবে। তবে টপ ও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা যদি জ্বলে উঠতে পারেন এবং বল হাতে মোহাম্মদ আমিররা নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দিতে পারেন, তাবে হারের বৃত্ত থেকে বের হওয়ার পাশপাশি ছন্দে ফিরতে পারবে পাকিস্তান।

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...