আওয়ামী লীগের দলীয় ফোরামে বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে এবং সেটি কীভাবে করা যায়, আইনগত প্রক্রিয়ার কথাও তারা বলছেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই তারা এ দেশ থেকে বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করে দিতে চায়।
জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ বাকশালী চেতনা লালন করে এমন মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, আমাদের সংবিধানে যে অধিকার বাংলাদেশের মানুষকে দেওয়া হয়েছে, সেটা হচ্ছে ভোটের অধিকার। মানুষের কথা বলার অধিকার। সাংবিধানিক অধিকারের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে, আমরা কথা বলছি। আজকে সরকার যদি বিএনপি তথা বিরোধী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করে দিয়ে এ দেশে কাগজে-কলমে লিখিত বাকশাল নতুন করে তারা কায়েম করে—যে রকম তারা একবার করেছিল সংসদের ভেতরে ১১ মিনিটের ব্যবধানে। যদি তারা বাকশাল নতুন করে কায়েম করে তাহলে আজকে পুনরায় প্রমাণিত হবে যে, এই আওয়ামী লীগ সরকার; যারা নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে, সেটা তাদের ভুয়া দাবি। তারা কোনো দিন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে নাই।
সরকার আবারও বাকশালের দিকে ধাবিত হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে বিশ্বাস না করলেই একটি সরকার দেশ থেকে সব বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। সরকার সেই পথে আজকে হাঁটছে। কাজেই দেশের ১৮ কোটি মানুষকে আজকে সতর্ক হতে হবে, বুঝতে হবে, জানতে হবে যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আওয়ামী লীগের হাতে নিরাপদ নয়।
বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি রাজনীতি করে জনগণের জন্য। আমাদের যে আন্দোলন বিগত দেড় বছর ধরে চলছে, এ দেশে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য—ক্ষমতার জন্য নয়।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ড. মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যদি বিরোধী দল নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়, এখানে গণতন্ত্রের স্পেস কোথায় থাকে! মূল কথা হচ্ছে যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করার জন্য, কুক্ষিগত করার জন্য বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করেছে। তারা বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের মানসিকতা।’