পিবিএ বাগেরহাট: বাগেরহাটের শরণখোলায় হাঁতুড়ি ও রড় দিয়ে পিটিয়ে মহারাজ হাওলাদার (৪৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার দুই পা ভেঙে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) পাঠানো হয়েছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের বাধাল গ্রামে ঠিকাদারী কাজ তদারকি শেষে ফেরার পথে হামলার শিকার হন তিনি। উপজেলার জানেরপাড় গ্রামের মৃত রশিদ হাওলাদারের ছেলে মহারাজ খোন্তাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পেশায় একজন ঠিকাদার।
আহত আওয়ামী লীগ নেতার জামাতা মো. মাসুদ গাজী জানান, তার শশুরের সাথে একই গ্রামের মৃত নূরু খানের ছেলে ফারুক খান, রোকন খান, খোকন খানদের দুই বছর ধরে উপজেলার ৪ নম্বর ধানসাগর মৌজার ২৭ বিঘা জমির ডিসিআর সংক্রান্ত একটি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। এনিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে চরম শত্রুতা চলে আসছে।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে ওই আওয়ামী লীগ নেতা বাধাল গ্রামে একটি মন্দিরের ঠিকাদারি কাজ পরিদর্শন করে ফেরার সময় প্রতিপক্ষরা ১০-১২ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে তার মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। এসময় সন্ত্রাসীরা হাঁতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার দুই পায়ের হাটুর নিচের অংশ গুঁড়িয়ে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত ‘খুমেক’ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খোন্তাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন জানান, মহারাজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তাকে হত্যার উদ্দেশেই হামলা চালানো হয়েছে। প্রতিপক্ষরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির এবং মামলাবাজ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার সরকার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।