রাজধানী ভাটারা থানা এলাকায় সোহাগ মিয়া নামে এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের আবারও তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন সাতদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার রহস্য উদঘাটনে তাকে ফের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাসুদুর রহমান। এসময় আসামিপক্ষ তার রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার ফের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে ভাটারা থানাধীন ফরাজী হাসপাতালের সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সোহাগ মিয়া। এ ঘটনায় ২০ আগস্ট তার বাবা শাফায়েত হোসেন ভাটারা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় গত ২৩ আগস্ট রাতে ঢাকার বনানী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন ২৪ আগস্ট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৯ জুলাই ভাটারা এলাকায় সোহাগ মিয়া (১৬) নামের এক কিশোরকে হত্যার অভিযোগে তার বাবা শাফায়াৎ হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯১ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় আ স ম ফিরোজকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ সম্বোধন করলে প্রতিবাদে দেশব্যাপী আন্দোলনের ডাক দেন শিক্ষার্থীরা। ওই আন্দোলন প্রতিহত করতে শিক্ষার্থীদের দমন করার ঘোষণা দেন আসামিরা। ফলে গত ১৯ জুলাই বিকেলে ভাটারা থানার ১০০ ফিট রোডের ফরাজী হাসপাতালের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে সরকারি নির্দেশনায় গুলিবর্ষণ করলে সোহাগ মিয়ার বাম কানের মধ্যে লেগে মাথার পেছন দিয়ে গুলিটি বের হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।