খোরশেদ আলম শিমুল, হাটহাজারী: হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন পৌরসভার বাসষ্টেশনস্থ বাজারে ক্রেতা সেজে(ছদ্মবেশে) গরুর মাংস ক্রয় করতে গেলে দোকানিকে মাংসের কেজি কত বললে,দোখানদার ‘গরুর মাংসের এক দাম, কেজি ৭০০ টাকা।‘আপনাকে ৫০ টাকা সম্মান করবো, ৬৫০ টাকা রাখবো। বৃহস্পতিবার (৯ মে) গরুর মাংস কিনতে গেলে এভাবেই দুইজন বিক্রেতা দাম জানান।এরপর মুখশ খুলে ফেলেন ইউএনও। ততক্ষণে সব মাংস বিক্রেতার চোখ কপালে উঠে গেছে। মুহূর্তেই কমিয়ে দিলেন মাংসের দাম।
এরপর ইউএনও বেশি দামে মাংস বিক্রি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তিনজনকে আটক করে। এর মধ্যে একজনের কাছ থেকে মুচলেকাসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং বাকী দুই ব্যবসায়ীকে ১৫হাজার ও ১০ হাজার করে মোট ৩৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।এদুইজন পুলিশের কাছে আটক রয়েছেন।
ইউএনও রুহুল আমিন পিবিএ’কে বলেন, রমজানে বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে গরুর মাংসের দাম ক্রেতাদের থেকে বেশি নেওয়া হচ্ছে এমন খবর পেয়ে ছদ্মবেশে অভিযান চালানো হয় পৌরসভার হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড ও বাজারের বিভিন্ন মাংসের দোকানে। তিনি বলেন তিন দিন আগে তাদের (মাংসের দেখানিদের)সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ৬০০ থেকে ৫৫০ টাকায় মান ভেদে মাংস বিক্রি করার জন্য। কিন্তু বাস্তবে তারা কথা রাখেনি।
পিবিএ/হক