পিবিএ,লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদের বিরুদ্ধে মারপিটের অভিযোগ এনে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দাখিল করেছে মাহিমা বেগম নামে এক নারী। মঙ্গলবার রাতে বুড়িমারী উফারমারা গুড়িয়াটারী এলাকায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে। তবে এ অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবী করে চেয়ারম্যান নিশাদ বলেন, পতিতা বৃত্তির অভিযোগে স্থানীয় লোকজন ওই নারীর উপর চড়াও হলে কয়েকজন ইউপি সদস্যসহ গ্রাম পুলিশকে সাথে নিয়ে আমি তাকে রক্ষা করেছি।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বুড়িমারী উফারমারা গুড়িয়াটারী এলাকার শামসুল হকের স্ত্রী মাহিমা বেগম (৪৫) বেশ কিছুদিন আগে চেয়ারম্যান নিশাতের কাছে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি বিচার দেয় । কিন্তু চেয়ারম্যান বিচারের প্রহসনে প্রতিপক্ষ ওই জমি জবরদখল করে। এ ঘটনায় মাহিমা বেগম ও তার স্বামী শামসুল হকের সাথে চেয়ারম্যানের বাক বিতন্ডা হয়। এ কারনে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন মাহিমা বেগম ও তার স্বামীকে বিভিন্নভাবে হুমকী ধামকী দেয়।
এরই জের ধরে গত ৩০ এপ্রিল রাত ২টার দিকে চেয়ারম্যান নিশাতের নেতৃত্বে রফিকুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান ও রুবেলসহ তার লোকজন মাহিমার বাড়িতে হামলা করে ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতারী মারধর করে। এতে মহিমার বিভিন্ন অঙ্গে ফুলা জখম ও মাথায় প্রচন্ড আঘাত পায়। বর্তমানে মহিমা পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধিন অবস্থায় রয়েছে।
বুড়িমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, মাহিমা অনেক আগে থেকে পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত। বিভিন্ন জায়গা থেকে মেয়ে নিয়ে এসে তার বাড়িতে দেহ ব্যবসা চালাতো। এঘটনায় স্থানীয় লোকজন তার উপর ক্ষিপ্তছিল। ঘটনার দিন রাতে স্থানীয় লোকজন তার বাড়িতে একজন বহিরাগত মেয়েকে আটক করে। এক পর্যায় লোকজন মাহিমার উপর চড়াও হয়।
খবর পেয়ে কয়েকজন ইউপি সদস্যকে সাথে নিয়ে গ্রাম পুলিশসহ তার বাড়িতে গিয়ে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে আমি তাকে উদ্ধার করেছি। তিনি আরও বলেন, ওই নারী জমি সংক্রান্ত কোন অভিযোগ আমাকে দেননি। এটি একটি সাজানো নাটক মাত্র। পাটগ্রাম থানার ওসি মনসুর আলী সরকার বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মহিমা বেগম একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তার অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
পিবিএ/এআই/আরআই