ইজতেমায় উসকানিমূলক বক্তব্য নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

followup_sova-pBA

পিবিএ,ঢাকা: বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে বুধবার(১৩ ফেব্রুয়ারি) টঙ্গীতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী আঞ্চলিক কার্যালয় প্রাঙ্গণে ইজতেমার সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে ফলোআপ সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে বয়ানের সময় কোন প্রকার উসকানিমূলক ও বিভ্রান্তকর বক্তব্য প্রদান করা যাবে না। আপনারা উভয়পক্ষ যেভাবে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন সেভাবেই ইজতেমা চলবে। ময়দানে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তাবাহিনী যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম। ময়দানের ভেতরে ও বাইরে কেউ কারো বিরুদ্ধে উসকানিমূলক কোন কথা বলা যাবে না। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বির্তকিত কোন স্ট্যাটাস বা বক্তব্য আপলোড করা যাবে না।

গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সিটি মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, জিএমপি কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান, ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরুব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম (মাওলানা সা’দ কান্ধলভীপন্থী) ইঞ্জিনিয়ার মেজবাহ উদ্দিন (মাওলানা জোবায়েরপন্থী) প্রমুখ। এসময় সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা ও তাদের প্রতিনিধিরা বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতির অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরেন। এতে বিশ্ব ইজতেমার শীর্ষ মুরুব্বিরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন অংশ নেন।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে ইজতেমা আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সবার সহযোগিতায় এবার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইজতেমা সম্পন্ন হবে। ইজতেমায় আগত সকল মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ ও সতর্ক রয়েছে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, শান্তি ও শৃঙ্খলার সঙ্গে ইজতেমা সম্পন্ন করতে হবে। ইজতেমা আয়োজনের জন্য উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সরকার সব রকম সহযোগিতা করে যাচ্ছে। ইজতেমার মূল আয়োজন ইজতেমা কর্তৃপক্ষ করছে। সরকার কেবল তাদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক দিকে সহযোগিতা করছে। ইজতেমায় কারা আসবেন আর কারা আসবেন না সেটা ইজতেমা কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত নেবেন। দুই পক্ষ তাদের যে তালিকা দেবেন সে তালিকা অনুসারে বিদেশি মুসল্লিদের ভিসা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

এদিকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও মুসুল্লিদের সুবিধার্থে পুলিশ ও র‌্যাবের পক্ষ থেকে আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। নিরাপত্তায় থাকছে পুলিশ, আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব, ও সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রায় ১০ হাজার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। নেয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা পরিকল্পনা।

পিবিএ/এফএস

আরও পড়ুন...