পিবিএ,কাপাসিয়া,গাজীপুর: কাপাসিয়া- রানীগঞ্জ -ঢাকা মহাসড়কের দু’পাশে রাওনাইট বাজারের পাশে ও দৈইল গাও এলাকার থাকা ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে চলছে ইট-কনক্রিটের ব্যবসা। এ যেন এক ইটবালির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিনত হয়ে গেছে। যার কারণে স্বচ্ছন্দে চলাচল করতে পারছেন না পথচারীরা। যান চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনে সড়ক দূঘটনা। প্রতিদিন হাজারো মানুষ প্রশাসনিক কর্মকতারা এ রাস্তায় চলাচল করলেও দেখে ও না দেখার বান করে চলে যায় সবায়। প্রতিনিয়িত বাস এখানে জানজটের সুস্টি হয়। এ যেন দেখার কেউ নেই। ব্যসায়ীরা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ার কারনে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না।
সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি রানীগঞ্জ থেকে শুরু করে রাওনাইট বাজার পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার ফুটপাত ও রাস্তা দখলে চলে গেছে। সেখানে রাখছে ইট, কনক্রিট, বালি ও রাবিশ। মহাসড়কের প্রায় ৫ থেকে ৭ফুট চওড়া ফুটপাত এত সরু হয়ে গেছে যে হেঁটে চলাও যাচ্ছে না। ফুটপাত দখল করে এসব ব্যবসায়ীরা রাখছেন স্থায়ীভাবেই। আর যাঁরা ফুটপাতে জায়গা পাচ্ছেন না, তাঁরা মালামাল রাখছেন প্রায় রাস্তার ওপরই। এমনকি রাস্তার ডিভাইজের ওপরেও রাখা আছে ইট, কনক্রিট ও রাবিশের বস্তা ও অন্যন্য আসবাব পত্র। ফলে ঝুঁকি নিয়ে পথচারীদের চলতে হচ্ছে মূল সড়কে নেমে মাঝপথ দিয়ে।
রাওনাইট এলাকার বাসিন্দা ইমাম হোসেন বলেন, এটা রানীগঞ্জ, লাখপুর,তারাগঞ্জ যাবার ব্যাস্ত সড়ক, এই পথেই আমাদের নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে ফুটপাতের পুরো অংশেই অবৈধ ব্যবসায়ীদের দখলে। হেঁটে চলাচলের আর কোনো উপায় নেই। বছর দুয়েক আগে এখানে প্রথমে দু-একজন ব্যবসায়ী ইট রেখে বিক্রি করতেন। পরে দিন দিন ইট, বালি, কনক্রিট রাখার গুদাম বানিয়ে রাখেছে। এখন এমন পর্যায় চলে গেছে যে পথ চারিরা ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে গিয়ে ভিড়ের কারণে সামনে এগোতে পারে না।
এক পথচারী বলেন, ফুটপাতের যেটুকু অংশ ফাঁকা আছে, সেটা তো লোকজনের চলাচলের জন্য নয়। ওই অংশটা হলো ইট, কনক্রিট ও বালি ব্যবসায়ীদের জন্য। রাস্তার ওপর ইট, কনক্রিট, সড়কে হেঁটে চলা মানুষ, ধুলো-বালি, কারনে সড়কে প্রচন্ড বিশৃঙ্খল অবস্থা। দেইলগাও এলাকার বাসিন্দা কাওসার বলেন রাস্তার ফুটপাত দখল করে কিছু ইট ও কনক্রিট ব্যবসা গড়ে ওঠায় জনসাধারণের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোছা. ইসমত আরা পিবিএকে বলেন ,মহাসড়কের ফুটপাত দখলের বিষয়টি আমার চোখে পড়েছে। শ্রীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
পিবিএ/সনজীব/ হক