পিবিএ,লক্ষ্মীপুর: ইতালিয়ান তরুণী যুবকের প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে লক্ষ্মীপুর এলেন। মা বাবা ভাই বোন আত্মীয় স্বজন ছেড়ে যুবকের প্রেমে মজে বাংলাদেশের অঁজোপাড়া গ্রাম লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে চলে এলেন। প্রেম মানে না কোনো ধর্ম, বর্ণ বা দেশ। কথাটি আবারো সত্য প্রমাণিত হলো। লক্ষ্মীপুরের এক যুবকের প্রেমে পড়ে দেশ ছেড়েছেন ইতালি তরুণী। গতকাল বাংলাদেশে পৌঁছেছেন ওই তরুণী। ভালোবেসে বিয়ে করেছেন প্রেমিক ইকবাল হোসেনকে। ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে নিজ নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন খাদিজা আক্তার।
ইকবাল হোসেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাপুর গ্রামের ওসমান আলী পাটোয়ারী বাড়ীর আক্তার হোসেনের ছেলে। এ সংবাদ শুনে সকাল থেকে তাদের দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে বহু মানুষ। ইকবাল ও তাঁর পরিবারের লোকজন জানান, প্রবাস জীবনে ইতালির ওই তরুণীদের একটি কোম্পানিতে চাকরি করেছেন ইকবাল হোসেন। তখন খাদিজার সঙ্গে ইকবালের পরিচয় ও প্রেম হয়। এরপর দুই বছর পর বাংলাদেশে চলে আসেন সে। কিন্তু কাগজপত্রে কিছুটা ক্রটি থাকায় ফের ইতালিতে যেতে পারেননি সে। তবুও ভাটা পড়েনি প্রেমেতে।
গতকাল রাতে খাদিজা ইকবালের গ্রামের বাড়িতে আসেন। পরে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক তাদের বিয়ে হয়। ভাষাগত কিছু সমস্যা থাকলেও বাঙালি নারীর মতোই স্বাভাবিকভাবে সব কাজ করছেন খাদিজা। পরছেন বাঙালি পোশাকও। ইতালিয়ান তরুণী খাদিজা আক্তার বলেন, ইকবাল ও বাংলাদেশকে খুব ভালোবাসেন তিনি। এজন্য ইতালি ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন লক্ষ্মীপুরে।
ইকবালের বাবা আক্তার হোসেন বলেন, বিদেশ থাকাকালীন ইকবালের সঙ্গে খাদিজার প্রেমের সম্পর্ক হয়। সে সম্পর্ক থেকে খাদিজা বাড়িতে আসলে তাদেরকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে খাদিজাকে পেয়ে খুবই আনন্দিত তিনি। ছেলে ও পুত্রবধুর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এর জন্য সকলের নিকট দোয়া কামনা করেছেন আক্তার হোসেন। এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে দূরদূরান্ত থেকে উৎসুক জনতা তাদের বাড়িতে ভিড় জমায় এক নজর ওই তরুণীকে দেখতে।
পিবিএ/অ আ আবীর আকাশ/বিএইচ