জুলাই শহীদদের নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ও গণহত্যায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচারসহ পাঁচ দাবিতে একটি মিছিল নিয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার ঘেরাও করতে গিয়েছিল ইনকিলাব মঞ্চ। কিন্তু শাহবাগ থানার সামনে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও দোয়েল চত্বর হয়ে শিক্ষা ভবন মোড়ে আসতেই সেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার কিছু সময় পরে শিক্ষা ভবন মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। তবে সেখানে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ঘটনাস্থলে দেখা যায়, আগে থেকে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছিল। উপস্থিত ছিল পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য। রাখা ছিল জলকামানও। ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা মিছিল নিয়ে ব্যারিকেডের সামনে এলে পুলিশ তাদের আর সামনে যেতে দেয়নি। পরে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা সেখানেই স্লোগান দিতে থাকেন।
বাধার মুখে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেন, পুলিশ ভাইয়েরা আমাদের আর সামনে যেতে দিচ্ছে না। তারা কথা দিয়েছে আমাদের পাঁচ দফা আগামীকাল (শনিবার) আইজিপি মহোদয়ের কাছে পৌঁছে দেবে। আমরা নিশ্চিত হতে চাই আমাদের পাঁচ দফা আইজিপির কাছে গেছে এবং তারা এটি নিয়ে কাজ করবেন।
তিনি আরও বলেন, যদি আগামীকাল সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা না হয় তাহলে কোনো কর্মসূচি ঘোষণা না দিয়ে আমরা পুলিশ হেডকোয়ার্টারের বারান্দায় অবস্থান নেব।
পরে সেখানে থাকা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে ইনকিলাব মঞ্চের পাঁচ দফা দাবির কাগজ তুলে দেওয়া হয়।
ইনকিলাব মঞ্চের পাঁচ দফা দাবি হচ্ছে— জুলাই গণহত্যায় সরাসরি জড়িত সব পুলিশকে অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে; জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা, মিথ্যা প্রতিবেদন ও হয়রানিতে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; পুলিশে ছাত্রলীগের সব ক্যাডারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাতে হবে; জুলাই গণহত্যার দায়ে তিরস্কৃত ও বদলি হওয়া পুলিশদের তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে এবং দেশের সার্বভৌমত্বের স্বার্থে জুলাই গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের পার্বত্য চট্টগ্রামে বদলি করা বন্ধ করতে হবে।
এসময় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) শান্তা, (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ফাতিমা তাসলিম ঝুমাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।