ইন্দোনেশিয়ায় যৌন সম্পর্কের দায়ে যুবক-যুবতীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় শাস্তি

পিবিএ ডেস্ক: প্রেমে পড়েছিলেন এক যুবক (১৯) ও এক যুবতী (২২)। সেই প্রেম গাঢ় হতে হতে এমন এক পর্যায়ে যায় যে, তারা যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। এ বিষয়টি গোপন থাকেনি। এই অভিযোগে, তাদের উভয়কেই একটি স্টেডিয়ামে মঞ্চ স্থাপন করে সেখানে প্রকাশ্যে ১০০ ঘা করে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক মানুষের সামনে তাদের বেত্রাঘাত করা হয়। সে সময় ব্যথায় আর্তনাদ করছিলেন ওই যুবতী। তিনি বারবার করুণা ভিক্ষা চাইছিলেন। যুবকটি ছিল সাদা শার্ট পরা।

তাকে এতটাই জোরে বেত্রাঘাত করা হয় যে, তাতে তার ত্বক ফেটে রক্তে রঞ্জিত হয় শার্ট। এখানেই শেষ নয়। তাকে এ অপরাধের জন্য ৫ বছর জেল খাটতে হবে।ইন্দোনেশিয়ার বান্‌দা আচেহ প্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ।
খবরে বলা হয়েছে, যখন বেত্রাঘাত করা হচ্ছিল তখন ২২ বছর বয়সী ওই যুবতী ব্যথায় বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। তারপরও তাকে প্রহার করতে থাকেন মুখোশ পরা দণ্ডদাতারা। তিনি করুণা ভিক্ষা চাইলেও শরিয়া কঠোর আইনের অধীনে তার শাস্তি পূর্ণ করা হয়। বান্‌দা আচেহ প্রদেশের লোকসেমাউয়েতে একটি স্টেডিয়ামে এই শাস্তি কার্যকর করা হয়। ব্যবহার করা হয় তেল দিয়ে পাকানো বেতের লাঠি। উল্লেখ্য, বিয়ের আগে এমন যৌন সম্পর্ক স্থাপন ইসলামিক আইনে কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ ওই অঞ্চলে। একই রকম শাস্তির বিধান রয়েছে জুয়া ও মদ পানের ক্ষেত্রেও।
ওদিকে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো প্রকাশ্যে এভাবে বেত্রাঘাতকে বর্বর শাস্তি বলে অভিহিত করেছে। তারা ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোর কাছে এমন শাস্তি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু আচেহ প্রদেশে বসবাস প্রায় ৫০ লাখ মুসলিমের। তারা ধর্মের ভিত্তিতে এমন শাস্তিকে সমর্থন করেন। মার্চে সন্তান ও পরিবারের সামনে প্রকাশ্যে ৫ দম্পতিকে একইভাবে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে গত বছর নভেম্বরে বেত্রাঘাত করা হয়েছে এক নারীকে। তা দেখে উৎসুক জনতা উল্লাস করেছিল। আরেকজন নারীর ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছিল।

পিবিএ/ ইকে

আরও পড়ুন...