একদিকে প্রচণ্ড গরম, আরেকদিকে চলছে রমজান মাস। সাধারণত অতিরিক্ত গরমে ঠাণ্ডা পানি পানের প্রবনতা বেড়ে যায়। আর রোজা হলে ঠাণ্ডা পানিকে ইফতারের অনুসঙ্গ বানিয়ে নেন অনেকে। ইফতার হোক বা সাধারণ সময় অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি কখনোই পান করা উচিত নয়। ঠাণ্ডা পানি পান করার অভ্যাস ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ বিপদ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পানে তার মারাত্মক প্রভাব পড়ে দাঁতের ভেগাস নার্ভের উপর। এই ভেগাস স্নায়ু হল আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। বেশি ঠান্ডা পানি পানে ভেগাস স্নায়ু উদ্দীপিত হয়ে ওঠে। যার ফলে হৃদগতি অনেকটাই কমে যেতে পারে।
শরীরচর্চা বা ওয়ার্কআউটের পর ঠান্ডা পানি পান করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ, ওয়ার্কআউটের পর দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেড়ে যায়। এই সময় ঠান্ডা পানি পানে দেহের তাপমাত্রার সঙ্গে বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য রাখতে পারে না। ফলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়ার্কআউটের পর যদি সামান্য উষ্ণ পানি পান করা যায়, তবে উপকার পেতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার পরে ঠাণ্ডা পানি পান করা ঠিক নয়। ঠাণ্ডা পানি শ্বাসনালীতে অতিরিক্ত পরিমাণে শ্লেষ্মার আস্তরণ তৈরি হয়, যা থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
প্রতিনিয়ত মাত্রাতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি পান করলে রক্তনালী সংকুচিত হয়ে পড়ে ও স্বাভাবিক পরিপাক ক্রিয়াও বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে হজমের মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।