ইবিতে ‘আন্তর্জাতিক কৃষি ও মানবসভ্যতা’ শীর্ষক সেমিনার

পিবিএ,ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘আন্তর্জাতিক কৃষি ও আগামীর মানবসভ্যতা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনে এ সেমিনার আয়োজন করে পরিধি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

সেমিনারে সংগঠনটির সদস্য আহমদ গালিবের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরিফ। সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন ইসলামী চিন্তা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রেসিডেন্ট ও কৃষি বিজ্ঞানী ইঞ্জিনিয়ার আশিকুর রহমান সৈকত। আরো উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইটসহ অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী।

মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে কৃষি বিজ্ঞানী ইঞ্জিনিয়ার আশিকুর রহমান সৈকত বলেন, ‘আমরা কৃষি কাজ বলতে শস্য কেন্দ্রীক কাজ গুলোকে বুঝি। কিন্তু কৃষির ধারণাটা অনেক ব্যাপক। সভ্যতার বিকাশে কৃষি কেন্দ্রীক সভ্যতা গড়ে উঠেছে। আর এটা হয়েছে নদীকে কেন্দ্র করে। বর্তমান বিশ্ব কৃষি এবং প্রযুক্তি দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনারা দেখতে পাবেন বর্তমানে যারা প্রযুক্তিতে উন্নত তারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এর পরেই আসে কৃষির বিষয়টি। যেইসকল দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ তারা কিন্তু বিশ্বে সমৃদ্ধ দেশ। তবে এই দুইটির মাঝে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। একটি অপরটির পরিপূরক। এই দুইটি বিষয়ে যেই দেশ সমৃদ্ধ তারাই বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কৃষি এবং প্রযুক্তির কারণেই একটি দেশ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠে।’

তিনি বলেন ‘কৃষির মূল উপকরণ বীজ। বীজ সংরক্ষণে বিশ্বে বড়ো বড়ো জীন ব্যাংক রয়েছে। তবে এটা শুধুই বীজ সংরক্ষণের উদ্দেশ্য এমনটা নয়। বিশ্বব্যাপী এর বড়ো প্রভাব রয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফাউন্ডেশন এর পৃষ্ঠপোষক। এর মাধ্যমে তারা কৃষি বাজারগুলোকে কুক্ষিগত করে রাখে। বিশ্বে কৃষি বীজের সাথে ঔষধ শিল্পের একটা বড়ো বাজার কাজ করে। বীজ, সার, কীটনাশক ও ঔষধ শিল্প মিলে বিশ্বব্যাপী একটি মনোপলি বাজার তৈরি হয়। এভাবে তারা কৃষকদের তাদের উৎপাদিত বীজ কিনতে বাধ্য করে। আর এই কৃষির মাধ্যমে তারা মানবসভ্যতার উপর প্রভাব বিস্তার করে।’

আরও পড়ুন...