নাজমুল হুসাইন, ইবি প্রতিনিধি: গ্রীষ্মকালীন অবকাশ ও পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে বন্ধকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় হতে গাছের গুড়ি ও লাকড়ি পাচারের অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের কম্পিউটার অপারেটর ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১ জুলাই) রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহের আলীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন অর্থ ও হিসাব শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আসাদুজ্জামান এবং সদস্য হিসেবে আছেন আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদুর রহমান টিটু। গঠিত কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মেহের আলী বলেন, চিঠি হাতে পেয়েছি। দ্রুতই কমিটির সদস্যদের নিয়ে বসে তদন্ত কাজ শুরু করবো।
এর আগে গত ১৪ জুন ভোর পাঁচটার দিকে ভ্যানযোগে এসব গাছের গুড়ি ও লাকড়ি পাচারের অভিযোগ উঠে এস্টেট অফিসের কম্পিউটার অপারেটর ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। ওইদিন ভোর পাঁচটার দিকে সাত থেকে আটটি ভ্যানযোগে এসব গাছের গুড়ি ও লাকড়ি পাচার করা হয়েছে বলে জানা যায়। এসময় আনসার সদস্যরা ভ্যান বের হতে বাঁধা দেয়। পরে ওই কর্মচারী নিজে ‘ভ্যান পাসের’ ব্যবস্থা করেন। এসময় অভিযুক্ত সেই কর্মচারী বাইকযোগে ওই স্থানে টহলের মাধ্যমে প্রটোকল দিচ্ছিলেন বলেও জানা যায়। এছাড়াও ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকের পানি দিয়ে জমিতে সেচ দেওয়ারও অভিযোগ আছে। এসকল ঘটনায় গত ২৭ জুন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।