নাজমুল হুসাইন,ইবি প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কর্মকর্তা সমিতির আয়োজনে গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শাহ্ মনজুরুল হক ও কোষাধ্যক্ষ এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা আনছারীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। তাঁরা উভয়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।
শনিবার (১৮ মে) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময় কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুটের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল এ.এম আমিন উদ্দিন, প্রধান আলোচক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, গেস্ট অফ অনার ছিলেন সাবেক এমপি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যক্ষ ড. শাহজাহান আলম সাজু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি দেওয়ান টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, এ্যাড. কে. এম মাসুদ রুমী এবং এ্যাড. বি. এম আব্দুর রাফেল।
সংবর্ধিত অতিথি শাহ্ মনজুরুল হক বলেন, আমি যখন সুপ্রিম কোর্টের ইলেকশন করেছি তখন বিশ্বববিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ অনেকে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। আমাদের যখনই ডাকা হয় আমরা অত্যন্ত আগ্রহভরে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করি, কারণ জন্মস্থানের পরে যে জিনিসটা মানুষের সাথে সবচেয়ে বেশি সংশ্লিষ্ট সেটা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়কে ধারণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।
অধ্যক্ষ ড.শাহজাহান আলম সাজু বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা মুক্তবুদ্ধি চর্চার প্রতীক হিসেবে দেখতে চেয়েছিলাম তার শতভাগ না হলেও অনেকটা কাছাকাছি আমরা গিয়েছি। যখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ভাল খবর পাই তখন আমাদের অত্যন্ত আনন্দ লাগে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অর্জন করা অনেক কঠিন, ধ্বংস করা খুবই সহজ। ক্ষমতা আছে বলে কেউই এমন কোন কাজ করবেন না যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়, সুনাম নষ্ট হয়৷
এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিচারকসহ আরও অনেকেই সুপ্রিম কোর্টে ভালো পারফর্মেন্স করতেছেন। আমি বারের সদস্য হিসেবে দেখি আপনাদের ছেলেরা বিভিন্ন জায়গায় ভালো অবস্থানে আছেন। যার অবদান মূলত এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, পৃথিবীতে একটি জায়গা আছে যেখানে হেরে আনন্দ পাওয়া যায়। সেটা হলো ছাত্রের কাছে এবং পুত্রের কাছে। ছাত্র আর পুত্রের কাছে আমরা শিক্ষকরা হেরে আজকে প্রচণ্ডভাবে আনন্দ ও গর্ববোধ করছি। আমরা সত্যি আজ আলোকিত। এই মঞ্চে যারা আছেন এবং সামনে যারা বসে আছেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি একদিন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে তারা আরও বেশি আলোকিত করবে।
এর আগে সকাল ১১ টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ মুর্যালে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন এ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল এ্যাড. কে এম মাসুদ রুমী, এ্যাড. বি এম আব্দুর রাফেল, সুপ্রীম কোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র এডভোকেট শাহ মনজুরুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যক্ষ ড. শাহজাহান আলম সাজু, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি দেওয়ান টিপু সুলতান, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যঅলয় শাখার সভাপতি ফয়সাল সিদ্দীকি আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়সহ আরও অনেকে।