ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন: অভিযুক্ত ৩ ছাত্রীর কারণ দর্শানোর শেষ সময় ৫ এপ্রিল

নাজমুল হুসাইন,ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে বিবস্ত্র করে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থীকে আগামী বুধবারের (৫ এপ্রিল) মধ্যে কারণ দর্শানোর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এটি জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে, মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের রিট পিটিশন নং- ২১০৫/২০২৩, গত ১লা মার্চ এর নির্দেশনা এবং গত ৪ঠা মার্চে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় গৃহীত সুপারিশ অনুযায়ী চাহিত কাগজপত্র সরবরাহ করা গেল না। তবে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব থেকে চূড়ান্ত ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাবদানের জন্য আগামী পাঁচ এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করা হলো।
এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে পরবর্তীতে সময়সীমা আর বৃদ্ধি করা হবে না বলেও জানানো হয়৷
জানা যায়, গত ৪ঠা মার্চ ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না এ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ১৫ মার্চের মধ্যে অভিযুক্তদের জবাব দিতে বলা হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান জবাব দেন।
অপরদিকে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার উর্মি জবাব না দিয়ে এক মাস সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। একইসঙ্গে তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদনের নথিপত্র চেয়ে আবেদন করেন।
এদিকে গত ১৫ মার্চ আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত)এইচ এম আলী হাসান। তিনি বলেন, অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে আর সময় বাড়ানো হবে না৷ তবে তারা যদি আইন বা কোর্টের আশ্রয় নিয়ে কিছু করে সেটা আলাদা বিষয়। আইনের উর্ধ্বে তো কেউ নয়।
তিনি আরও বলেন, তাদেরকে ডাকযোগে, বিভাগে এবং সরাসরিও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নবীন শিক্ষার্থী ফুলপরীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গত ১ মার্চ সানজিদা চৌধুরি অন্তরাসহ পাঁচ অভিযুক্তকে ক্যাম্পাস থেকে সাময়িক বহিষ্কার, হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহার, ভুক্তভোগী ফুলপরীর সার্বিক নিরাপত্তা ও তার পছন্দের হলে উঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশে সেদিনই হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করে প্রশাসন।
এছাড়া গত ৪ মার্চ পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না এ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে তাঁদেরকে হল ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

আরও পড়ুন...