ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন

অন্তরাসহ পাঁচজনের বহিষ্কারাদেশ হাইকোর্টে বাতিল

নাজমুল হুসাইন,ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নবীন এক ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির রায় বাতিল করেছে হাইকোর্ট। এছাড়া নির্যাতনকারী পাঁচ শিক্ষার্থীর সাজা পুনঃনির্ধারনে উপাচার্যকে নির্দেশও দেয়া হয়েছে। বুধবার (২৬ জুলাই) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

এদিকে এ ঘটনায় গত ১৫ জুলাই নির্যাতনকারী শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচ অভিযুক্তকে ১ বছরের জন্য স্থায়ী বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য কার্যালয়ের ২০২ নং কক্ষে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির রায়ে সন্তুষ্ট হন নি আদালত। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির রায় বহাল রাখার আবেদন করেন। তবে তা নাখোঁজ করে রায় পুনঃনির্ধাণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে রিট কারী আইনজীবী গাজী মহসিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আইন রয়েছে তাতে সর্বোচ্চ শাস্তি স্থায়ী বহিষ্কারের বিধান রয়েছে। আজ বিচারপতি কোড অব কন্ডাক্টের বিধি প্রথম ভাগের ৪, ৫, ৭ এবং দ্বিতীয় ভাগের ৮ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যবস্থা নিয়ে আগামী ২৩শে আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এ নিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী ফুলপরী খাতুন বলেন, আমি আমার দাবিতে অনড় অবস্থায় রয়েছি। আমার চাওয়া তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হোক।

এদিকে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি তো ক্যাম্পাসের বাহিরে আছি। আমি এখনও কিছু জানি না। যেহেতু জানা নেই, এজন্য মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

এর আগে গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গনরুমে এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী ও পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মীর বিরুদ্ধে।

এ নিয়ে হল, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও উচ্চ আদালত এবং শাখা ছাত্রলীগ কতৃক পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত শেষে প্রতিবেদনের আলোকে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওই পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া হল প্রশাসন ও ছাত্রলীগ তাদের তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বহিষ্কার করে।

আরও পড়ুন...