ইবিতে শিবির সন্দেহে দুই শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের মারধর

নাজমুল হুসাইন,ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিবির সন্দেহে দুই শিক্ষার্থীকে ধাওয়া ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) অনুষদ ভবন এলাকায় দুপুর দেড় টায় এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষার্থীরা হলেন আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের জামাল ও দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ইকরামুল।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, অনুষদ ভবনের করিডরে শিবির সন্দেহে ইকরামুল ইসলামকে ছাত্রলীগ কর্মীরা মারধর করে অনুষদ ভবনের গেট দিয়ে বের করে দেয়। পরে জামাল নামের আরেক শিক্ষার্থীকে ধাওয়া দেন বলে জানা যায়। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অনুষদ ভবনের বিভিন্ন কক্ষে শিবির কর্মী খুঁজতে থাকে এবং দরজা ধাক্কাধাক্কি করে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ‘শিবির ধর জবাই কর’ সহ বিভিন্ন শ্লোগান দিচ্ছিল। পরে তারা প্রশাসন ভবন চত্বরে শোডাউন দেয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, অনুষদ ভবনে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে দলবদ্ধ হচ্ছিল। সে খবর ছাত্রলীগের কর্মীরা জানতে পেরে তাদের ধাওয়া করা হয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জামাল বলেন, “দেড়টা পর্যন্ত আমার ক্লাস ছিল। ক্লাস শেষ করে মেসে যাচ্ছিলাম। সাদ্দাম হলের সামনে গেলে কয়েকজন আমাকে নাম বিভাগসহ বিভিন্ন কথা জিজ্ঞেস করে। পরে অনুষদ ভবনের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর আরো কয়েকজন মিলে জিজ্ঞাসাবাদ করে। শিবিরের সাথে সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা জানতে চায়। কোনরূপ সংশ্লিষ্টতা নেই বললেও আমার সাথে মারমুখী আচরণ করে। একপর্যায়ে দৌঁড়াতে বললে আমি ভয়ে দৌঁড়ে চলে যাই। কোনপ্রকার সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বেও একটা সংগঠনের তকমা দিয়ে যেভাবে হেনস্তা করা হলো, আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমি ইসলামিক সাবজেক্টে পড়ি বলেই কি আমার সাথে এমন আচরণ করবে?”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। কেউ যদি কোনো অপরাধ করে থাকে সেটা আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নিবো। কিন্তু এভাবে শিক্ষার্থীদের মারধর করাটা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। দেখি আমি কাল ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে বিষয়টি নিয়ে বসবো।’

আরও পড়ুন...