ইবিতে সাহিত্য উপস্থাপনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান

নাজমুল হুসাইন,ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাংলা বিভাগে সাহিত্য উপস্থাপনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭জুলাই) বেলা এগারো টায় রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের ১০১ নং কক্ষে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলা বিভাগের কোর্স শিক্ষক প্রফেসর ড. শেখ মহাঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর গাজী মোঃ মাহবুব মুর্শিদ, এছাড়া প্রধান অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক আবদুল মান্নান সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি ও নাট্যকার আকছারুল ইসলাম। এছাড়াও প্রফেসর ড. শাহজাহান মন্ডল, প্রফেসর ড.ইয়াসমিন আরা সাথী, প্রফেসর ড. মোঃ মনজুর রহমান, প্রফেসর ড.বাকী বিল্লাহ বিকুলসহ অন্যন্যারা আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রফেসর ড. মোঃ রাশেদুজ্জামান।

এসময় প্রধান অতিথি কথা সাহিত্যিক আবদুল মান্নান সরকার বলেন, “আলো অন্ধকারে যায়”- মাথার ভিতরে একটা বোধ কাজ করে। এই বোধ বা উপলব্ধি করতে পারলে লেখা যায়, লেখা আসে। শিল্পের ক্ষেত্রে নাট্যকলা শেখানো যায়, চিত্রকর্ম হাতে কলমে শেখানো যায়, ভাস্কর্য হাতে কলমে শেখানো যায়। তবে কবিতা বা লেখালেখি হাতে কলমে শেখানো যায় না। মানুষের যখন একটা বোধ বা উপলব্ধি কাজ করে এবং সেটি ফুটিয়ে তোলার আকাঙ্খা সৃষ্টি হয়। তখন তা লেখার মাধ্যমে ফুটে ওঠে। একটি কবিতা এমনি এমনি আসে না। কবিতা হলো শব্দের শিল্প, শব্দের সংগ্রহ। কবিতায় একটি কথা খুব অল্প সময়ে বলা যায়। তবে উপন্যাসে তা বলা যায় না। সৃজনশীল লেখা বলতে বোঝায়, কোনো কিছু নতুন সৃষ্টি করা। কোনো লেখা লিখতে হলে লেখককে আলাদা ধ্যান করতে হয়।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ‘শৈলী’ নামে দেয়াল পত্রিকা উদ্বোধন করা হয় এবং শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

 

আরও পড়ুন...