ইবিতে সৌন্দর্য্য বর্ধণকারী ল্যান্টানা

নাজমুল হুসাইন,ইবি প্রতিনিধি: ল্যান্টানা ভারবেনাস পরিবারভূক্ত একটি ফুলের প্রজাতি। এর উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম Lantana camara. এটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ, পাতা সরল, জালিকাবিন্যাস যুক্ত উদ্ভিদ। এটি বাংলাদেশে ল্যান্টানা, ভারতে পুটুস ফুল এবং মালয়েশিয়ায় ইরম-ঝধমব নামে পরিচিত।

এই ফুলের আদি নিবাস আমেরিকা হলেও এশিয়ায় বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতসহ সর্বত্র পাওয়া যায়। পথের ধারে আগাছা হিসেবে জন্মানো ল্যান্টানার নানা ঔষুধি গুণ আছে। অযত্ন আর অবহেলায় বেড়ে ওঠা এই গাছটি শোভাবর্ধনকারী হিসেবেও পরিচিত।

এই গাছটি বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রোপণ করা হয়। এই গাছ পর্তুগিজরা প্রথম ভারতবর্ষে নিয়ে আসে। এর ফুলের ছত্রমঞ্জরী দেখতে খুবই সুন্দর। নানারকম প্রজাপতি উড়ে এসে বসে। প্রথমে ফুল হালকা হলুদ রঙের হয়। এ সময় ফুলে পরাগায়ন হয় এবং পরাগায়নের পরেই মধুভাব শেষ হয়ে যায় এবং ফুলের রং বদলাতে থাকে।

ল্যান্টানার পাতায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, ছত্রাকনাশক এবং কীটনাশক গুণ বিদ্যমান। এছাড়া ক্যানসার, ত্বকের চুলকানি, কুষ্ঠরোগ, চিকেন পক্স, হাম, হাঁপানি, আলসারসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য ঐতিহ্যগতভাবে ভেষজ ওষুধে ব্যবহার করা হয় এই গাছ।

উদ্ভিদটির দেখা মিললো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের উচ্চশিক্ষার তীর্থস্থান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি) সাদ্দাম হোসেন হলের সামনের ফুলের বাগানে। সবুজের এক সমারোহ এই ছোট্ট বাগানের এক পাশে ল্যান্টানা বা পুটুস ফুলের বাস। ছোট্ট বাগানের অসংখ্য ফুল আর এমন দুর্লভ কিছু গাছ নিয়ে অভূতপূর্ব এক স্মৃতি নিয়ে সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলটি। সাধারণত এই উদ্ভিদটি সবার দৃষ্টিতে পড়ে না। যারা আসলে প্রকৃতিপ্রেমি তারা এই অবহেলিত জিনিসের মধ্যেও সৌন্দর্য্য খুঁজে পান।

ল্যান্টানা নিয়ে কথা হয় হলের এক শিক্ষার্থীর সাথে। তিনি বলেন, চলতে-ফিরতে ফুলগুলো চোখে পড়ে। তবে সাধারণত এর সৌন্দর্যটাই আমরা উপভোগ করি। এর ঔষধি গুণ সম্পর্কে জানি না।

আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তুহিন বাবু বলেন, ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক। ফুলের সৌন্দর্য্য আমাদের মনকে প্রফুল্ল করে তুলে। মনের অহমিকা দূর করতে ফুলের জুরি নাই। আমরা যখন ক্লাসে যাই, এই ফুলের সৌন্দর্য্য আমাদের মনকে শান্ত করে। আবার ঠিক ফেরার সময়ও এর সৌন্দর্য্যে সকল ক্লান্তিভাব দূর হয়। তবে এর ঔষধি গুণ সম্পর্কে তেমন জানতাম না।

এই গাছটির খুব কাছে না গেলে আসলে এর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় না। বেশ কয়েকটি রঙের সমন্বয়ে ফুলটি দেখতে বেশ চমৎকার! যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলের সৌন্দর্য্য বর্ধণ করে চলেছে।

 

আরও পড়ুন...