নাজমুল হুসাইন,ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দুই শিক্ষক ও এক এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বরাদ্দপ্রাপ্ত কোয়ার্টার রেখে অন্য কোয়ার্টারে থাকার এবং এক শিক্ষক বিনা অনুমোদনে কোয়ার্টারে থাকার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৬ আগস্ট) বাসা বরাদ্দ কমিটি ও এস্টেট অফিস সূত্রে তথ্যটি জানা যায়। এছাড়াও আগামী ১৪ আগস্ট বাসা বরাদ্দ কমিটির সভাপতি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান-এর অফিস কক্ষে ১২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
এস্টেট অফিস সূত্রে, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল হালিমের জন্য ক্যাম্পাসস্থ ১২৫০ বর্গফুট কোয়ার্টারের (মেঘনা) নিচতলার পশ্চিম পার্শ্বস্থ কোয়ার্টার বরাদ্দপ্রাপ্ত। কিন্তু গত ৪ জুলাই থেকে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমোদনে ১৫০০ বর্গফুট কোয়ার্টারের ৪র্থ তলার পূর্ব পার্শ্বস্থ কোয়ার্টারে বসবাস করছেন।
হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাফর আলীর জন্য ১০০০ বর্গফুট (কর্ণফুলী) কোয়ার্টারের নিচ তলার পূর্ব পাশের কোয়ার্টার বরাদ্দপ্রাপ্ত। কিন্তু তিনি গত ২৮ জুলাই থেকে ১২৫০ বর্গফুট (যমুনা) কোয়ার্টারের ৪র্থ তলার পশ্চিম পাশের কোয়ার্টারে বসবাস করছেন।
এছাড়াও এস্টেট অফিসের শাখা কর্মকর্তা (নিরাপত্তা) তোফাজ্জেল হোসেনের জন্য ৬০০ বর্গফুট (কোয়েল) ৪র্থ তলার পশ্চিম পাশের কোয়ার্টার বরাদ্দপ্রাপ্ত। কিন্তু তিনি গত ২৮ জুলাই থেকে বসবাস করছেন ১০০০ ফুট (কর্ণফুলী) কোয়ার্টারের নিচ তলার পূর্ব পাশের কোয়ার্টারে।
অন্যদিকে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমোদনে ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জেসমিন আক্তার গত ৪ জুলাই থেকে ১২৫০ বর্গফুট (মেঘনা) কোয়ার্টারের নিচতলার পশ্চিম পাশের কোয়ার্টারে অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে ফিন্যাংন্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল হালিম, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জেসমিন আক্তার এবং হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাফর আলীকে একাধিকবার ফোনে চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এস্টেট অফিসের শাখা কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হোসেন বিনা অনুমতিতে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি বাসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে মৌখিকভাবে অনুমতি নিয়ে উঠেছি। কর্ণফুলী ভবনে থাকার জন্য আমার অনেক আগেই আবেদন করা আছে।
এদিকে আবাসিক কমিটির আহ্বয়াক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, আমি যতদূর জানি তাদের আগে থেকেই এলটমেন্ট ছিলো, এজন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তারা অন্য ভবনে একচেঞ্জ করেছেন। তবে তারা এটা প্রশাসনিকভাবে করেছেন কিনা সে বিষয়ে অবগত নই। এটা আমার এখতিয়ার বর্হির্ভূত।
বিষয়টি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। এটা আউট অফ নলেজ।