নাজমুল হোসাইন,(ইবি) কুষ্টিয়া: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১৫৯ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকার বাজেট বরাদ্দ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ বাজেটে গবেষণা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ০.৮৯ শতাংশ। যা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কাছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিকৃত ২০০ কোটি ১৪ লক্ষ টাকার বিপরীতে কমিশন নিজস্ব আয় ৮ কোটি ১ লক্ষ টাকা সহ ১৫৮ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়। এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিকৃত ২১০ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার বিপরীতে নিজস্ব আয় ৯ কোটি সহ কমিশন ১৫৯ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
এ বাজেট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ০.৮৯ শতাংশ। যার ভিতর গবেষণা (নিয়মিত) ৯০ লাখ টাকা যা মোট বাজেটের ০.৫০ শতাংশ, গবেষণা (বিশেষ) ৫০ লাখ টাকা যা মোট বাজেটের ০.২৭ শতাংশ এবং উদ্ভাবনে ২ লাখ টাকা যা মোট বাজেটের ০.১১ শতাংশ। এদিকে বাজেটের সিংহভাগ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও অবসরকালীন ভাতা বাবদ। যা মোট বাজেটের ৬৯ শতাংশ।
গবেষণা খাতে এমন বাজেটে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, গবেষণার জন্য উন্নতমানের ল্যাব এবং সুযোগ-সুবিধা না থাকায় প্রতিযোগিতামূলক গবেষণা থেকে পিছিয়ে পড়ছেন তারা।
এবারের গবেষণা কাজের বরাদ্দ নিয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মুনতাকিম রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান চর্চা ও নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টির স্থান। সেখানে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টির মাধ্যম হলো গবেষণা। উন্নত মানের গবেষণার জন্যে প্রয়োজন পর্যাপ্ত গবেষণার সরঞ্জাম। সেখানে ইবিতে এক শতাংশের চেয়েও কম বাজেট বরাদ্দ দেওয়া অত্যন্ত লজ্জাজনক। দেশের অর্থনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাত। কিন্তু তাতে প্রয়োজনীয় তহবিল বরাদ্দ নেই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুইঁয়া বলেন, “গবেষণা বরাদ্দ আগের তুলনায় বেড়েছে। আমরা আরও বেশি বরাদ্দ চেয়েছিলাম। ইউজিসি থেকে এই পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে।”