ইবির চারুকলা’তে চলছে বর্ষবরণ প্রস্তুতি

নাজমুল হুসাইন,ইবি: বাঙালির প্রাণের উৎসব বংলা নববর্ষ অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ। মাত্র ১দিন পর বরণ করা হবে সার্বজনীন এ উৎসবকে। এ উপলক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি) চারুকলা বিভাগে চলছে নানা প্রস্তুতি।

জানা গেছে, পহেলা বৈশাখে পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে। যার ফলে নববর্ষকে বরণ করতে বিভাগের শিক্ষার্থীরা গত কিছুদিন ধরেই একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ‘এমন সমাজ কবে গো সৃজন হবে, যেদিন হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান গোত্র নাহি রবে ‘এমন স্লোগানে এবারের পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকছে- নকশি পাখা, একতারা, চালন, কুলা, কলসি, কৃষকের মাথার টুপি, মাছ ধরার পলুই যা ভিন্ন ভিন্ন বার্তা বহন করবে।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিক্ষার্থীরা। সবাই নকশি পাখা, একতারা, চালন, কুলা, কলসে নকশা তৈরির কাজে মগ্ন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে তারা গান, গল্প ও আড্ডায় মাতিয়ে রাখছেন সবাইকে।

বিভাগের প্রভাষক ইমতিয়াজ ইসলাম রাসেল বলেন, ‘বাংলা নববর্ষ বাঙালির শেকড়কে অনুসরণ করে। এবার একটু ব্যতিক্রম প্রতিকৃতি রাখা হয়েছে। যেমন- এ অঞ্চলে গ্রীষ্মের প্রতাপ বেশি এজন্য নকশি পাখার প্রতিকৃতি সে বার্তা বহন করবে। কৃষকের মাথার টুপি, মাছ ধরার পলুই এটি বাংলাদেশের প্রান্তিক কৃষিকাজের চিত্রকে উপস্থাপন করবে। একতারা দিয়ে লালন ফকিরের অঞ্চল তা ফুটে উঠবে। আর চালন, কুলা, কলসির প্রতিকৃতি বাঙালীর নিত্যদিনের সঙ্গি সে বার্তা বহন করবে।

তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা চারুকলা বিভাগের এবারের প্রথম আয়োজন। আশা করি দারুণ কিছু উপস্থাপন করবো। আগামীতে এই ধারা অব্যাহত থাক এটাও প্রত্যাশা করেন তিনি। এ সময় তিনি সবাইকে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালন করতে আসার আহ্বান জানান ও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।

ইবির চারুকলা বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী স্বপ্না রাণী মন্ডল বলেন, ‘নববর্ষ উৎযাপনের নান্দনিক কাজ গুলো আমরা খুব উপভোগ করি। শিক্ষকরাও নিজ নিজ জায়গা থেকে সাহায্য করেন। আশা করছি এবারও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে নববর্ষ উদযাপন করা হবে।’

সদ্য ক্যাম্পাসে আসা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রাফিয়া নাজনীন কথা বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে কেমন মজা হবে তা এখনো বুঝতে পারছি না। নববর্ষ উদযাপন নিয়ে খুবই এক্সাইটেড আমি। কেননা এর আগে এভাবে নিজ হাতে এসব কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়নি। তবে বড় ভাই, আপু ও শিক্ষকদের সঙ্গে কাজ করতে ভালোই লাগছে।’

এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় প্রসাশন ভবন থেকে ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আব্দুস সালামের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি বের হবে। এর আগে আনন্দের প্রতীক বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্ভোদন হবে। এ সময় উপস্থিত থাকবেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলসগীরা হোসেন ভুঁইয়া এবং রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) মু.আতাউর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগ, হল ,বিভিন্ন শিক্ষক সমিতি,পরিষদ, ফোরামসহ ,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সকল সংগঠন অংশ নেবে।

 

আরও পড়ুন...