নাজমুল হুসাইন, ইবি : কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্টের সকল ইভেন্টে অংশগ্রহণ, আন্তঃবিভাগ ও আন্তঃহল টুর্নামেন্টের দ্রুত আয়োজনের দাবিতে পুনরায় প্রধান ফটকে তালা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড় শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় এ আন্দোলন শুরু করেন তারা। পরে পৌনে তিনটার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা প্রধান ফটক খুলে দেন। টানা ঘন্টাখানেক আন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুপুর দুইটার শিক্ষক- শিক্ষার্থী বহনকারী ক্যাম্পাসের বাস চলাচল বন্ধ হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে আড়াই হাজার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শহরে অবস্থান করা সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এসময় আন্দোলনকারী খেলোয়াড়েরা বলেন, “আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরুর ঘোষণা দিলেও অন্য খেলাগুলো নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছেনা। এছাড়া তাদেরকে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্টে সকল ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হচ্ছেনা।”
এসময় প্রধান ফটক অবরুদ্ধ করায় ভোগান্তিতে পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আটকে পড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া থাকতেই পারে কিন্তু অন্যদের ভোগান্তিতে ফেলে এভাবে আন্দোলন করা যুক্তিসঙ্গত পন্থা নয়।”
পরে ঘন্টাখানেক পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ খেলোয়াড়দের সাথে আলোচনায় বসার শর্তে তালা খুলে দেয়া হয়।
এবিষয়ে শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ইউজিসি থেকে আমাদের যে বাজেট দেয়া হয়েছে তার সিংহভাগ বঙ্গবন্ধু চ্যাম্পিয়নশিপে খরচ হয়ে গেছে। সরকারের ব্যয়সংকোচন নীতির কারণে বৃহৎ পরিসরে সকল খেলা বাস্তবায়ন করা কষ্টসাধ্য। তারপরেও আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলেছি, তারা বিষয়টি দেখছেন।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, কথায় কথায় ফটকে তালা দেয়ার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তাদের দাবি নিয়ে তারা আমার সাথে কোন কথা না বলেই প্রধান ফটকে তালা দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে ফেলেছেন। পরে বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের সাথে আলোচনার আশ্বাস দিলে তারা আন্দোলন স্থগিত করে।